এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বকটুইকাণ্ডে প্রশ্নের মুখে সিবিআই তদন্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রায় ৩ মাস হতে চলল বীরভূম(Birbhum) জেলার রামপুরহাট(Rampurhat) থানার বকটুই(Boktui) হত্যাকাণ্ডের। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তের দায়ভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশেই সেই তদন্ত করছে সিবিআই(CBI)। পাশাপাশি যে খুনের ঘটনার জেরে ওই গণহত্যা ঘটেছিল সেই ভাদু শেখ খুনের ঘটনাতেও তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে ২১ মার্চ রাতে ঘটে যাওয়া ওই দুই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের মধ্যে অনেকেই এখনও পর্যন্ত ফেরার। এমনকি তাদের নামে কোনও চার্জশিটও জমা পড়েনি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে সিবিআই করছে কী? কেন ধরা পড়ছে না অপরাধীরা? সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। অনেকেই মনে করছেন এর আগে বিভিন্ন ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পরেও যেমন আজও বহু মামলায় সিবিআই যেমন অপরাধীদের ধরতে পারেনি, এক্ষেত্রেও না সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। 

গত ২১ মার্চ বকটুই মোড়ে খুন হন স্থানীয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। সেই খুনের ঘটনায় ভাদুর দাদা বিকির আলি ১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের মধ্যে ছ’জনকে রাজ্য পুলিশ(Police) গ্রেফতার করেছিল। এদের মধ্যে তিন জনের নাম এফআইআর-এ ছিল না। ধৃতরা সকলেই এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। কিন্তু ভাদু শেখ খুনের তদন্তভার সিবিআই নেওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পলাশ শেখ, নিউটন শেখ, ছোট লালন শেখ সহ সাত জন এখনও ফেরার। এমনকি এদের নামে এখনও কোনও চার্জশিটও জমা পড়েনি। ভাদু খুন হওয়ার পরে পরেই একের পর এক বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বকটুই গ্রামে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১০জন মারা গিয়েছেন। প্রথমে রাজ্য পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। রাজ্য সরকার সেই সময় স্পেশ্যাল ইনভেসটিগেটিং টিম বা সিট(SIT) গঠন করে দিয়েছিল।

সিট ঘটনার তদন্তে নেমে ২২ জনের নাম উল্লেখ সহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ৭০- ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে। ২২ মার্চ ২০ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। ২৪ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকেও গ্রেফতার করা হয়। ২৫ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বকটুই গণহত্যাকাণ্ডের তদন্ত সিবিআই গ্রহণ করে। সিবিআই-এর আইজি অখিলেশকুমার সিংহের নেতৃত্বে সিবিআই বগটুই গ্রামে তদন্ত শুরুও করে। সেই সময় বকটুই গ্রামে গিয়ে সিবিআইয়ের টিম আগুনে পোড়া বাড়িগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি ঘটনাস্থলের ছবি, ভিডিয়োগ্রাফি, ম্যাপ, স্কেচ করেছিল। এমনকি বাড়িতে বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় ব্যবহৃত ৩টি টোটো ও ১টি বাইকও বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। এমনকি সিবিআইয়ের টিম ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে অভিযুক্ত হিসাবে মুম্বই থেকে চার জন এবং বকটুই থেকে ২’জনকে গ্রেফতার করে। এখনও পর্যন্ত পুলিশ ও সিবিআই মিলিয়ে বকটুই গণহত্যা কাণ্ডে ২৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন নাবালক জামিনে ছাড়া পেয়েছে। বাকিরা জেল হেফাজতে রয়েছে।

কিন্তু এরপরেও বকটুইকাণ্ডে স্বজনহারাদের দাবি, ঘটনার মূল অভিযুক্ত লালন শেখ সহ বাকি অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় তদন্তের গতি-প্রকৃতি এগোচ্ছে না। তাঁদের দাবি, লালন শেখ, জাহাঙ্গীর শেখ, সুজন শেখরা এখনও ধরা পড়েনি। তাঁদের আশা ছিল সিবিআই এদের গ্রেফতার করবে। কিন্তু তা হয়নি। কোনও চার্জশিটও জমা পড়েনি। এবার তো যারা ধরা পড়েছে তারাও জামিনে ছাড়া পেয়ে যাবে। তাহলে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দিয়ে লাভ কী হল, এই প্রশ্ন তুলেছেন বকটুইকাণ্ডের স্বজনহারা মানুষগুলি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

‘ইন্ডিয়া’র বড় গদ্দার উনি, সকালে বিজেপির পা ধরেন, বিকেলে সিপিএমের পা ধরেন’, আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর