নিজস্ব প্রতিনিধি: বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসে উত্তরবঙ্গ সফরে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের ৩টি বিমানবন্দর চালু করবার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। এই ৩টি বিমানবন্দর হল বালুরঘাট, মালদা ও কোচবিহার। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যেই এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা এসে ওই তিনটি বিমানবন্দরের পরিকাঠামো পরিদর্শন করে যান। পরিদর্শনের পরে ফিরে গিয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা মালদা বিমানবন্দরকে ছাড়পত্র না দিলেও বালুরঘাট ও কোচবিহার বিমানবন্দরকে ছাড়পত্র দিয়েছেন বলে সূত্রে খবর। আর এই খবর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পৌঁছাতেই আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী মহল প্রত্যেকেই। কেননা বালুরঘাটে বিমানবন্দর চালু হলে কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। বাঁচবে সময়ও।
দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে সড়কপথে কিংবা রেলপথের মাধ্যমে কোন রোগীকে কলকাতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হলে, যানজট এড়িয়ে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করতে হয়। বালুরঘাট বিমানবন্দর চালু হলে সেই সময় অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা জেলাবাসীর। পাশাপাশি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা হিসাবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে বিমানবন্দর চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা ব্যবসায়ী মহলের। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে আকাশপথে মেঘালয়ের তুরা বিমানবন্দরের দূরত্ব খুবই কম। সেই কারণে তুরা-কলকাতা ভায়া বালুরঘাট বিমান পরিষেবা চালু হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়িক ও অন্যান্য আদান-প্রদানেরও উন্নতি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বালুরঘাট তথা দক্ষিণ দিনাজপুরবাসী। এখন দেখার বিষয় এয়ার পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ছাড়পত্র পাওয়ার পর কত তাড়াতাড়ি বালুরঘাট বিমানবন্দর চালু হয়। সেদিকেই তাকিয়ে বসে আছে বালুরঘাটের সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী মহল প্রত্যেকেই।