এই মুহূর্তে




কলকাতায় ভোট, মন খারাপ হাওড়ার! কাঠগড়ায় ধনখড়




নিজস্ব প্রতিনিধি: সব কিছু ঠিক থাকলে এখন কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া শহরের বুকেও পুরনির্বাচনের প্রচার তুঙ্গে উঠে যেত। কিন্তু সেই ভোটের পথে বাগড়া দিয়েছেন বাংলার ছোটলাট। আর তাই কলকাতায় ভোটবাদ্যি বেজে গেলেও হাওড়া শুনশান। সেখানে নেই কোনও ভোট প্রচার, নেই কোন উত্তাপ। সেই না থাকার জ্বলার থেকেও এখন এটা চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। ঠিক কবে ভোট হবে হাওড়ায় আর সেই ভোট ঠিক কতগুলি ওয়ার্ডে হবে, মানে ৫০ না ৬৬ সেই উত্তর কারোর কাছেই নেই। আর তাতেই ক্ষোভ চড়ছে হাওড়ায়। শহরের সিংহভাগ মানুষই এখন এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছে বাংলার ছোটলাট জগদীপ ধনখড়কে। মানে বাংলার রাজ্যপালকে। কেননা তিনিই হাওড়া পুরনিগমের পুনর্গঠনের বিল আটকে দিয়েছেন। আর সেই বিলে সই না করার জেরে রাজ্য সরকারও হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন নিয়ে এগোতে পারছে না। তাই যে ভোট কলকাতার সঙ্গেই আগামী ১৯ ডিসেম্বর হয়ে যেতে পারতো সেটাই এখন চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার দিকে চলে গিয়েছে।

হাওড়া পুরনিগমে ছিল ৫০টি ওয়ার্ড। ২০১৫ সালে এই পুরনিগমের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয় ৩৫ আসন বিশিষ্ট বালি পুরসভাকে। সেই সংযুক্তির জেরে বালি পুরসভা এলাকার ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস করা হয়। তার জেরে সেখানকার ওয়ার্ড সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৬-তে। সেই ১৬টি ওয়ার্ড হাওড়া পুরনিগমে যুক্ত হওয়ায় হাওড়া পুরনিগমের মোট ওয়ার্ড দাঁড়ায় ৬৬। কিন্তু চলতি বছরে রাজ্য সরকার আবারও সিদ্ধান্ত নেয় হাওড়া থেকে বালিকে ফের বিচ্ছিন্ন করে পৃথক পুরসভা হিসাবে গড়ে তোলা হবে। সেই মতন হাওড়া পুরনিগম পুনর্গঠনের বিলও আনে রাজ্য সরকার যা চলতি বছরে বিধানসভায় পাশও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই বিলই এখন আটকে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি ওই বিলে সই করেননি। উল্টে বিল পাশের সময়ে বিধানসভায় সেই বিলের ওপরে কী কী আলোচনা হয়েছে সেই তথ্য তিনি চেয়ে পাঠিয়েছেন বিধানসভার স্পিকারের কাছ থেকে। আর এই বিলে তাঁর সই না থাকলে তা আইনেও পরিণত হবে না। বিল আইনে রূপান্তরিত না হলে রাজ্য সরকারও সেই আইন মেনে হাওড়া পুরনিগমে নির্বাচন করাতে পারবে না। আর এখানেই কার্যত বিশ বাঁও জলে চলে গিয়েছে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচনের সম্ভাবনা।

রাজ্যপালের রাজনৈতিক কার্যকলাপের নমুনা বঙ্গবাসী তাঁর বঙ্গে আগমনেরর সময় থেকেই দেখে আসছে। এতদিন সেই কার্যকলাপ মূলত সীমাবদ্ধ ছিল রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী, শাসক দল ও মন্ত্রীদের আক্রমণ করার স্তরে। কিন্তু এখন তাঁর কার্যকলাপেরর জেরে উন্নয়নও এবং নির্বাচনের মতো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াও আটকে গিয়েছে। ধাক্কা খেয়েছে দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র। ধাক্কা খেয়েছে হাওড়া পুরনিগম এলাকার উন্নয়ন। আর তাই শহরবাসীও তাঁর ওপর চূড়ান্ত ভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। শহরের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশেরই বক্তব্য, রাজ্যপাল হয়ে আসা ইস্তক জগদীপ ধনখড়ের কাজই হচ্ছে পদ্মপালের মতো কাজ করে যাওয়া। বাংলার রাজনীতিতে বিজেপি যাতে ভেসে থাকতে পারে তার জন্য তাঁদের সুবিধা করে দেওয়া। হাওড়ায় নির্দিষ্ট সময়ে ভোট হোক না না হোক, সেখানে বিজেপির জেতার কোনও সম্ভাবনাই নেই। শহরের যা হাল তাতে শাসক পক্ষ তৃণমূলই বোর্ড গঠন করবে। তা সে আজ ভোট হোক কী এক বছর বাদে হোক! সেটা বুঝতে পেরেই এখন রাজ্যপাল ভোট আটকে দিয়ে বিজেপির মুখরক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন : মানস ভূঁইয়া

বাবরি মসজিদের পাল্টা মুর্শিদাবাদে তৈরি হবে রাম মন্দির

চাকরির টোপ দিয়ে মহিলাকে ‘কুরুচিকর’ মেসেজ , TMCP-র নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

রূপনারায়ণ নদীর তীরে ‘ওড়ফুলি উদ্যান’ ছোট বড় সকলের উইকেন্ড ডেস্টিনেশন

বিটি রোডে পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা স্কুলবাসে, আহত ১৮ কনস্টেবল

পাকিস্তানের অবৈধ সন্তান হল বাংলাদেশ : শুভেন্দু অধিকারী

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর