নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূগর্ভস্থ জলস্তর নেমে যাওয়ায় এবার পানীয় জলের সংকটে সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ। চৈত্র মাস প্রায় শেষের দিকে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর। সেই সময় পানীয় জলের সংকট দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সুন্দরবনবাসী।
সু্ন্দরবন অঞ্চলে এমন জল সংকট নতুন নয়। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গ্রীষ্মকালে এই জল সংকট চলছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবা, কুলতলি, পাথরপ্রতিমা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এই সমস্যায় জেরবার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পাশের জেলা উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন ব্লকের কয়েকশো গ্রামের মানুষও ভুগছেন পানীয় জলের সংকটে। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে জলের পাইপলাইন। টিউওবওয়েল থেকে এখনও উঠছে নোনা জল। আর সেই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। পানীয় জলের সংকটের সমস্যা তো রয়েছে একইসঙ্গে এই অঞ্চলগুলিতে নোনা জল খেয়ে পেটের রোগ, চর্মরোগ-সহ শরীরে একাধিক সমস্যায় ভুগছেন সাধারন মানুষ। কবে মিলবে স্বচ্ছ পানীয় জল। সে বিষয়ে কোনও উত্তর দিতে পারছে না প্রসাসনও।
সুন্দরবন অঞ্চলে পানীয় জলের সন্ধানে কখনও পাড়ি দিতে হচ্ছে ২-৩ কিলোমিটার পথ। বহু গ্রামবাসী বৃষ্টির জল ধরে রাখেন। সেই জল পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করেন। ফলে বৃষ্টি না হলে তাঁরা পানীয় জলের যোগান পান না। সন্দেশখালি-১ ব্লকের রাধানগর সেহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে এলাকার ঘরে ঘরে পানীয় জল দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান কালীকিংকর দাস জানান, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি।
ঘূর্ণিঝড় যশের পর জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের উদ্যোগে ১১টি টাইম কল বসানো হয়েছিল। আড়াই হাজার পরিবার সেখান থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করত। কিন্তু গরম বাড়তেই সেখানেও মিলছে না জল। কবে এই সমস্যার সমাধান হবে সেই উত্তর খুঁজছেন সুন্দরবনের মানুষ।