এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পরকীয়ায় বাধা! প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে খুন গৃহবধূর

নিজস্ব প্রতিনিধি: বেশ করেছি প্রেম করেছি। আর তার জন্য খুন করতেও আজকাল হাত কাঁপছে না বাংলার গৃহবধূদের। সুপ্রিম কোর্ট পরকীয়াকে অপরাধ তকমা মুক্ত করে দিয়েছে। আর তারপর থেকেই দেখা যাচ্ছে কার্যত গোটা দেশজুড়েই সমাজের সব শ্রেনীর মহিলাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে প্রবণতা হু হু করে বেড়ে চলেছে। আর শুধু বেড়ে চলাই নয়, পরকীয়াকে ঘিরে ক্রমশ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন গৃহবধূরা। আর এই অপরাধের অন্যতম হক খুনের ঘটনা। বাংলাও এই প্রবণতার বাইরে নেই। এখানেও দেখা যাচ্ছে পরকিয়াতে জড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি অক্লেশে অপরাধ সংগঠনে পিছিয়ে থাকছেন না মহিলারা। এমনকি খুন করতেও তাঁদের হাত কাঁপছে না। এমনই ঘটনা বার বার সামনে আসছে বাংলার আনাচেকানাচে থেকে। মালদা জেলার সদর মহকুমার ইংরেজবাজার থানার শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপুর গ্রামে এবার এমনই ঘটনা সামনে এল যা রীতিমত এলাকায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে। সেখানে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে।

জানা গিয়েছে, মোহনপুরের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর সাদিকুল খানের সঙ্গে প্রায় দশ বছর আগে সারেফা বিবির বিয়ে হয়। তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। গত চার বছর ধরে প্রতিবেশী যুবক নূর আলমের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে সারিফার। এই নিয়ে সাদিকুলের সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা লেগে থাকত সারিফার। এরপরই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের ছক কষে সরিফা। গত ১০ জানুয়ারি নিখোঁজ হয়ে যান সাদিকুল। কোথাও খুঁজে না পেয়ে ১৬ তারিখ মিল্কি পুলিশ ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। এরপর তদন্তে নেমে লালচাঁদ শেখ নামে নূর আলমের এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পারে যে সাদিকুলকে খুন করেছে সারেফা বিবি। প্রেমিক নূর আলমকে সঙ্গে নিয়েই সে এই কাজ করেছে। সাদিকুল তাদের পরকীয়ায় বাধা হয়ে উঠেছিল বলেই এই চরম পদক্ষেপ নিয়েছে সারিফার ও তার প্রেমিক নূর আলম।

জেরাতে লালচাঁদ আরও জানায় যে, খুনের ঘটনা যাতে কেউ জানতে না পারে তার জন্য সাদিকুলের দেহ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছে সারিফার। এরপর সারিফা ও নূর আলমকে গ্রেফতার করে মুখোমুখি জেরা করতে বসে পুলিশ। তাতেই জানা যায় লালচাঁদের তথ্য সঠিক তবে সারিফার হাত দিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু গোটা ষড়যন্ত্রে সেই ছিল মধ্যমণি। গত ১০ জানুয়ারি সাদিকুলকে অপহরণ করে গলা কেটে খুন করে নূর ও তার দলবল। এরপর মৃতদেহ বস্তাবন্দী করে ফেলে দেওয়া হয় নূরের আত্মীয়ের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে। শুক্রবার সেখান থেকেই নিখোঁজ হওয়ার ১১ দিন বাদে সাদিকুল খান(৩৮)-এর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় সারিফা ও নূরকে। এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত আছে সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দ্রুত তাঁদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্তদের ফাঁসি দাবি করেছে সাদিকুলের পরিবার।

এদিকে এদিনই এক যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইংরেজবাজার শহরে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। নবনীতা ঘোষ (৩৩) নামে ওই যুবতীর বাড়ি শহরের দেশবন্ধু পাড়ায়। তিনি অনলাইনের মাধ্যমে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ২০১৪ সালে তাঁর বিয়ে হলেও দু’বছরের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। শুক্রবার সকালে বেডরুম থেকে নবনীতার দেহ উদ্ধার হয়। কি কারণে আত্মহত্যা তা নিয়ে ধন্দ্বে রয়েছে পরিবারের লোকজন। নবনীতার মোবাইল থেকে আত্মহত্যার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুর্গাপুর এনআইটি ‘র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের আত্মহত্যা, গাফিলতির দায় মেনে পদত্যাগ ডিরেক্টরের

সীমান্তবর্তী শহর বসিরহাটে নির্বাচনের আগে জোর তল্লাশি পুলিশের

সন্দেশখালিতে সিবিআই রাতের অন্ধকারে বিদেশি পিস্তল লুকিয়ে রেখে এসেছে: অখিল গিরি

বিরোধীরা বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে দাবি প্রসূনের, তাপ প্রবাহে সুস্থ থাকার টোটকা রথীনের

তীব্র দাবদাহ থেকে পশু পাখিদের বাঁচাতে শান্তিপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিশেষ উদ্যোগ

তাপপ্রবাহে স্বস্তি পেতে ভাগীরথীতে বন্ধুদের সঙ্গে জলে নেমে তলিয়ে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর