নিজস্ব প্রতিনিধি: ময়নাগুড়ির নির্যাতিতা নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মূল অভিযুক্ত অজয় রায়কে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করল পুলিশ। বুধবার অজয় রায়কে নিয়ে গ্রামে গিয়ে ওই ঘটনার যাবতীয় খুটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।
ডিএসপি ক্রাইম বিক্রমজিত লামার নেতৃত্বে অজয় রায়কে নিয়ে বুধবার গ্রামে যায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রামে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে তদন্তকারীরা। এদিন গোটা বিষয়টির ভিডিওগ্রাফি করা হয়। ঘটনার পুনর্নির্মাণ উপলক্ষে এদিন গ্রামে মোতায়ন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, কী ভাবে ঘটনাটি ঘটেছিল, অভিযুক্ত কোন রাস্তা দিয়ে এসেছিল আর কোন রাস্তা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল এবং কী ভাবে সে ঘটনা ঘটিয়েছিল সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখা হয়েছে।
উল্লেখ্য জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির নাবালিকাকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মেয়েটির পরিবার ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর অভিযুক্ত অজয় রায় আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। জামিনে মুক্তি পেয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য ১৩ এপ্রিল ফের মেয়েটির পরিবারকে অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেয় অজয় রায়। এর পরের দিন ১৪ এপ্রিল গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নাবালিকা। পরিবারের লোক এর পর তাকে প্রথমে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য। সেখানে টানা ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর অবশেষে ২৫ এপ্রিল সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ২১ এপ্রিল অজয় রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, নিজের মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় আগেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেও পরে সেই অবস্থান থেকে সরে আসেন নির্যাতিতা মেয়ের বাবা। তাঁর দাবি, পুলিশ ভাল কাজ করছে। তাই আর নির্যাতিতার মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই নয়, তদন্ত করুক রাজ্য পুলিশ। নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা জানান, প্রথমে মেয়ের ঝলসানো চেহারা দেখে তিনি মাথা ঠিক রাখতে পারেননি। তাই সেই সময় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। এর পর এই ঘটনায় পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করায় তিনি খুশি বলে জানান। এবার বুধবার তদন্তকারীরা গ্রামে গিয়ে সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করলেন অভিযুক্তকে নিয়ে।