নিজস্ব প্রতিনিধি: রবি সকালে শিউরে উঠেছিলেন মালদা(Malda) জেলার চাঁচল(Chnachol) মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর(Harishchandrapur) থানা এলাকার কুশিদা গ্রামের বাসিন্দারা। কেননা সেই গ্রামের ধারেই ফাঁকা মাঠ থেকে উদ্ধার হয়েছে এক নগ্ন মহিলার দেহ(Nude Woman Body Recover)। সেই মহিলার মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অ্যাসিড দিয়ে যাতে চট করে চেনা না যায়। শরীরের বেশির ভাগ জায়গায় কাটাছেঁড়ার দাগ। পাশে পড়ে ব্যবহৃত কন্ডোম। অনুমান করা হচ্ছে, গণধর্ষণের(Possibility of Gangrape) পর খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। স্বাভাবিক ভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশেরও অনুমান গণধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে তাঁকে। মহিলার দেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন যা বলে দিচ্ছে আপ্রাণ প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। কুশিদা থেকে কিছুটা দূরেই বিহার এবং বাংলার সীমান্ত এলাকা। ওই মহিলা স্থানীয় কেউ নাকি ভিন্রাজ্যের বাসিন্দা, তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয়দের দাবি, বিবস্ত্র অবস্থায় পড়েছিল মহিলার দেহ। মুখ অ্যাসিড জাতীয় কিছু ঢেলে বিকৃত করার চেষ্টা করা হয় বলেই অভিযোগ। দেহের পাশেই পড়েছিল কন্ডোমের বাক্স, ছুরি, ধূপকাঠি, লঙ্কার গুঁড়ো। ঘটনার সঙ্গে তন্ত্রসাধনার যোগ রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। দেহউদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা এই কাজ করল, তা স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের ধারনা বিহার থেকে খুন করে দেহ ফেলে যাওয়া হতে পারে। তবে জেলার থানাগুলিকে খবর দেওয়া হয়েছে যাতে কোনও মহিলা নিখোঁজ থাকলে তা জানা যায়। পুলিশের তদন্তকারীদের দাবি, ঝোপের মধ্যে মহিলাকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গোপনাঙ্গ সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লঙ্কার গুড়ো ছড়িয়ে দিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে। মহিলার বয়স তিরিশের আশপাশে। রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে হিঁচড়ে নামানো হয়েছে তাঁকে। তার প্রমাণও রয়ে গিয়েছে রাস্তায়। এ দিন পুলিশ নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করলেও তাঁর জামা-কাপড় পড়ে ছিল ঘটনাস্থলেই। একই সঙ্গে পাশে পড়েছিল ব্যবহায় করা বেশ কিছু কন্ডোম। ছিল ধারল ছুরি। এছাড়াও ছড়িয়ে ছিল লঙ্কার গুঁড়ো।