নিজস্ব প্রতিনিধি, অশোকনগর (উত্তর ২৪ পরগনা): পূর্ব বর্ধমানের পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর।
ধর্ষণে ও শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার আর্জি জানিয়ে পড়ল পোস্টার। পোস্টার পড়েছে অশোকনগর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামলেন্দু দে ও অশোকনগরে ২১ নম্বর প্রার্থী নীলরতন মিত্রের বিরুদ্ধে। এরা দুইজনেই পদ্ম শিবিরের প্রার্থী। দুজনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পদ্মশিবিরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটা ঘাসফুল শিবিরের কীর্তি। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামলেন্দু দে- স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কেস থাকার কথা। সেই সঙ্গে সংযোজন, এ ছাড়া কেউ তাঁর বিরুদ্ধে অন্য কোনও অভিযোগ দেখাতে পারলে তিনি তাঁর প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেবেন। শ্যামলেন্দুবাবুর কথায়, ঘাসফুল শিবির হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় এই সব পোস্টার সাঁটিয়েছে।
অভিযোগ উড়িয়ে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপ পালের পাল্টা দাবি, বিজেপি শিবিরে গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। তাই, গোষ্ঠী কোন্দল থেকে নজর ঘোরাতে ঘাসফুলকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।আর ভোট পাওয়ার জন্য দলকে এই সব কুকীর্তির আশ্রয় নিতে হয় না। তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ হয়েছে, তার নিরিখেই মানুষ ঘাসফুলের প্রার্থীদের ভোট দেবে। তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাছাডা় ওই সব কুরুচিকর মন্তব্যের জবাব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন তিনি বোধ করেন না।
উল্লেখ করা যেতে পারে, এর আগে বিজেপি প্রার্থীর স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্কে আপত্তিকর ছবি দিয়ে পোস্টার পড়েছিল পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাটে।
আরও পড়ুন দলবিরোধী কাজ, বরখাস্ত ২০ ‘বিদ্রোহী’ তৃণমূল নেতা