নিজস্ব প্রতিনিধি: উৎসবের রেশ কাটার আগেই এপার বাংলায়(West Bengal) হু হু করে বাড়তে চলেছে আলুর দাম। কেননা ওপার বাংলা(Bangladesh) মানে বাংলাদেশের সরকার এবার সেদেশের ব্যবসায়ীদের বিদেশ থেকে আলু(Potato) আমদানি করার ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। আর সেই ছাড়পত্রের দৌলতেই এপার বাংলা থেকে আলু কিনা তা ওপার বাংলায় নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া খুব দ্রুত শুরু হয়ে যেতে চলেছে। যেহেতু খোলাবাজারে ওপার বাংলায় আলুর দাম বেশি, তাই এপার বাংলার আলু ব্যবসায়ীরা ঢালাও হারে যে ওপার বাংলায় আলু পাঠাবেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর তার জেরেই কালিপুজোর(Kali Puja) সময়ে রাজ্যজুড়ে আলুর চাহিদা যেমন হু হু করে বাড়তে চলেছে তেমনি তার দামও বাড়তে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি বছরের মধ্যভাগ থেকেই বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে। একইসঙ্গে বাড়ছে খাদ্যদ্রব্যের দামও। বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকার(Sheikh Hasina Government) আমজনতার সুবিধার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল। তার মধ্যে ছিল আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজ। কিন্তু এর কোনোটির দামই বাজারে কার্যকর হয়নি। তার থেকেও বড় বিষয় সেখানে প্রতি মাসেই বেঁধে দেওয়া হয় ভোজ্যতেল ও চিনির দাম, যদিও এসব পণ্য বাজারে তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়। এখন বাংলাদেশে আলু বিক্রি হচ্ছে কার্যত ৭০টাকা কেজি দরে। এই অবস্থায় সামনেই রয়েছে সেদেশের সাধারন নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে যাতে আলুর দর কিছুটা হলেও কমানো যায় তার জন্য হাসিনা সরকার সেদেশের ব্যবসায়ীদের বিদেশ থেকে আলু আনার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেই আলু যাবে ভারত থেকেই। কেননা বিশ্বের অনান্য দেশ থেকে আলু কিনে আনার খরচ যা পড়বে, ভারত থেকে তা কেনার খরচ অনেক কম পড়বে। তাছাড়া হাতের কাছেই রয়েছে এপার বাংলা। সেখান থেকে আলু আমদানি আরও সোজা।
আর সেই সুবাদেই এপার বাংলায় খুব শীঘ্রই হু হু করে আলুর দাম বেড়ে যেতে চলেছে। এমনিতেই এ রাজ্যে মাঠ থেকে নতুন আলু ওঠার ক্ষেত্রে এখনও কিছুটা সময় বাকি আছে। কার্যত তার আগেই এপার বাংলা থেকে টন টন আলু যদি ওপার বাংলায় চলে যায় তাহলে এপার বাংলায় আলুর দাম বাড়তে বাধ্য। এখন কলকাতায় চন্দ্রমুখী ও জ্যোতি আলুর দাম ২২ থেকে ২৬টাকা কেজি প্রতি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই অবস্থায় যদি এপার বাংলা থেকে বাংলাদেশে আলু যেতে শুরু করে তাহলে দেখা যাবে কালিপুজোয় বাজারে আলু বিক্রি হতে পারে দ্বিগুণ দামে। অন্তত ব্যবসায়ীদের তেমনটাই ধারনা। স্বভাবতই সেই সময়ে খোলা বাজার থেকে আলু কিনতে গেলে হাত পুড়বে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তদের।