নিজস্ব প্রতিনিধি: বহু সাধনার পর আবার পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শান্তিনিকেতনের আবাসিকদের মুখে খুশির হাওয়া। তবে একটি জটিলতা আছে এই খুশির আবহাওয়াতে। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, পৌষমেলা কোনওভাবেই ছোট করে করা সম্ভব নয়। ফলত, মেলা আদৌ পূর্বপল্লির মাঠেই হবে কি না সেই নেয়ে জটিলতা তৈরী হয়েছে।
সামনেই পৌষ মাস। তাই শীতের চাদর গায়ে জড়িয়ে শান্তিনিকেতন আবাসিকরা প্রস্তুত পৌষ-কে স্বাগত জানাতে। তবে গত তিন বছরের থেকে এই বছরটা একটু আলাদা। বিশ্বভারতীর পূর্বপল্লির মাঠে আবার ফিরছে পৌষমেলা। আবার বসবে বৈতালিক, সেজে উঠবে ছাতিম তলা। কিন্তু সব কিছুর মধ্যেই কেমন যেন বিষাদের ছায়া শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের ঘোষণায়।
গত শুক্রবার প্রায় দুঘণ্টা কর্মসমিতির বৈঠকের পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানান, সেই পুরানো মাঠেই এ বার পৌষমেলার আয়োজন করা হবে। তবে পরিবেশ আদালতের বেশ কিছু দূষণবিধি আছে। সেই সব বিধি মেনে ছোট করে মেলার আয়োজন করা হবে। কিন্তু শনিবার শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার জানিয়ে দেন, ছোট করে এই মেলা করা সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, ‘‘মেলার যে ব্যয় হয়, সেই খরচপাতি এই দোকানপাট থেকে উঠে আসে। তা ছাড়া, বিশ্বভারতীর তরফ থেকে মেলা করার কথা জানানো হলেও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে এখনও পর্যন্ত কোনও কিছু জানানো হয়নি।’’ তাঁর আরও যুক্তি, মেলায় যদি কেউ দোকানপাট নিয়ে আসেন, ছোট করে ব্যবসা করতে চান, তা হলে ওই ব্যবসায়ীদের বারণ করা সম্ভব হবে না। ফলে মেলা আগের মতোই করতে হবে। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সংযোজন, তারা মেলা করতে অনিচ্ছুক নয়। বরং উল্টোটাই। কিন্তু মেলা আগের মতোই বড় আকারে হবে।
বিশ্বভারতীর পৌষমেলা আয়োজন করে বিশ্বভারতীর শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। মেলার তত্ত্বাবধানে থাকেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই পৌষমেলা করতে হলে দুপক্ষের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা বাঞ্ছনীয় এবং প্রয়োজনীয়। আশ্রমিক থেকে সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা বলছেন, পৌষমেলা ছোট করে হলেও পূর্বপল্লির মেলার মাঠেই যে হচ্ছে, এটাই তাঁদের কাছে বড় বিষয়।