নিজস্ব প্রতিনিধি: স্কুলে ঝুলছে তালা। অথচ পরীক্ষা! অগত্যা বারান্দার মাটিতে বসেই পরীক্ষা দিতে হল স্কুল পড়ুয়াদের (Student)। ঘটনা মেদিনীপুরের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। শ্রী শ্রী মোহনানন্দ বিদ্যামন্দিরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, একই বিল্ডিংয়ে চলে প্রাইমারি আর হাইস্কুল, তাতেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
একই ভবনে সকালে চলে শ্রী শ্রী বালানন্দ প্রাইমারি স্কুল। বেলা হলে শুরু হয় হাইস্কুল। শুক্রবার ছিল প্রাইমারি স্কুলের মিড টার্ম পরীক্ষা। আর ছোট ছোট পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুলে এসেই হতভম্ব হয়ে যান অভিভাবক- অভিভাবিকারা। কারণ স্কুলের গেটে ঝুলছে তালা। এদিকে পরীক্ষার (Exam) সময় এগিয়ে আসছে। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান অভিভাবক- অভিভাবিকারা। তখন প্রাইমারি স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্কুলের চাবি তাঁদের কাছে নেই, রয়েছে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে। সময় নষ্ট না করে স্কুলের বারান্দার মেঝেতেই বসানো হয় পরীক্ষার্থীদের। শুরু করা হয় পরীক্ষা। একেই তীব্র গরম তার ওপর এই পরিস্থিতে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতেও স্বচ্ছন্দ বোধ করছিল না। এতেই ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। তাঁরা রাগে ফেটে পড়েন। উত্তেজিত হয়ে ঘেরাও করেন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুমিত কুমার ঘোষের বাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত স্কুলে ছুটে আসেন তিনি। ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের অনেকে তাঁর ওপর চড়াও হয়ে কলার টেনে ধরেন, বলে অভিযোগ।
প্রাইমারি স্কুল (Primary School) কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, প্রাইমারি স্কুলের কাওকে কিছু না জানিয়েই বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় হাইস্কুল (High School)। আরও অভিযোগ, খুদে পড়ুয়াদের হেনস্থা করতেই এই ধরণের কাজ করে হাইস্কুল। যদিও সুমিত কুমার ঘোষের দাবি, তিনি জানতেন না প্রাইমারি স্কুলের পরীক্ষা। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল স্কুল চত্ত্বর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।