নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে বঙ্গের নব্য ‘ছোটলাট’ সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় অযাচিত এবং অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এবার স্বাধীনতা দিবসে বন্দিমুক্তির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও বাগড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল ‘বিজেপি বান্ধব’ তথাকথিত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। আর খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই অভিযোগ তুলেছেন।
সোমবার স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন বেহালায় তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত ‘ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট’ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানেই কালা চশমাধারী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘বন্দিমুক্তি করব বলে প্রায় ৮০-৮৫ জনের নাম পাঠালাম। যে কোনও ফাইল পাঠাব, হয় মুখ্যসচিব-কে ডাকবে, না হলে ডিজি-কে ডাকবে। নয় আমাকে ডাকবে। সবাই যেন ওঁর চাকর-বাকর, তিনি যখন ডাকবেন যেতে হবে। সকাল ৬টায় বললে চলে যেতে হবে। রাত ১০টায় ফোন করে বলবেন, ‘চলে এসো’, চলে যেতে হবে।’
এর পরেই রাজ্যপালকে লক্ষণরেখা না ডিঙানোর পরামর্শ দিয়ে মমতা বলেন, ‘আপনি মাননীয় রাজ্যপাল, আমি আপনাকে সম্মান করি। রাজার পার্ট আপনি করুন। প্রজার পার্ট করতে যাবেন না। প্রজার পার্ট করবে জনগণ। আগামী দিনে এটা নিয়ে আমাদের ফাইট করতে হবে।’ নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন জেলে বন্দিদের সাজার মেয়াদ কমিয়ে মুক্তি দেয় রাজ্য সরকার। প্রতি বছরের মতো এ বারেও নবান্ন থেকে নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। কিন্তু সেই ফাইলে অনুমোদন দেননি বঙ্গের নব্য ‘ছোটলাট’।