এই মুহূর্তে




পুজো শেষ, ঠিক ৫ দিন বাদে শুরু হবে আবাসের সমীক্ষা, গুরুত্ব ১০ দফা শর্তে

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: এবছরের মতো পুজো শেষ। কার্নিভালের পালাও শেষ। এদিন হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুজোও। আর ঠিক ৫ দিনের মাথায় আগামী ২১ তারিখ থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হচ্ছে আবাসের সমীক্ষা(Survey for Housing)। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১০ দিন ধরে এই সমীক্ষা চলবে। মাঝে থাকা শনি ও রবিবারও কাজ হবে। আবাসের উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে সরকারি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচাই করতে নামবেন। পুরনো তালিকা ছাড়াও এবারের বন্যায় অনেকেরই ঘরবাড়ি ভেঙেছে। এছাড়াও কোনও কারণে তালিকায় নাম বাদ পড়ায় অনেকেই অভিযোগও করেছিলেন। এমন ব্যক্তিদেরও বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করা হবে। শুধু তাই নয়, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে উপভোক্তাদের বাড়ি Geo Tag করা হবে। আগামী ২০ ডিসেম্বর বাংলা আবাস যোজনার(Bangla Awas Yojna) প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকবে। তবে এই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমীক্ষার সময়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ১০ দফা শর্তের পূরণকে। এই সব শর্ত পূরণ হলে তবেও মিলবে প্রকল্পের সুবিধা।  

কেন্দ্র বঞ্চনা করায় বাংলায় ১১ লক্ষ মানুষকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) রাজ্যের কোষাগার থেকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এবার তারই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সেই সমীক্ষার জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৩জনের একটি করে সমীক্ষক দল তৈরি করা হয়েছে। বাংলা আবাস যোজনায় চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে সমীক্ষকদের মোট ১০টি নিয়ম দেখে নিতে বলা হয়েছে। কী সেই নিয়ম? বলা হয়েছে, উপভোক্তার ৩ অথবা ৪ চাকার গাড়ি থাকা চলবে না। এমনকি ৩ অথবা ৪ চাকা বিশিষ্ট কোনও কৃষিযন্ত্রও থাকা চলবে না। তৃতীয়ত, উপভোক্তার পরিবারের কেউ সরকারি কর্মচারী থাকলে চলবে না। সরকারি রেজিস্ট্রিভুক্ত অকৃষিজাত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থাকা চলবে না। পঞ্চমত উপভোক্তার পরিবারের মাসিক আয় ১৫ হাজারের বেশি হওয়া চলবে না। ইনকাম ট্যাক্সের আওতায় থাকা চলবে না। মাসিক ১৫ হাজার আয়ের ওপর Professional Tax’র আওতায় থাকা চলবে না। অষ্টমত, নিজের নামে আড়াই একরের বেশি কৃষিজমি থাকা চলবে না। নিজের নামে ৫ একরের বেশি অকৃষি জমি থাকা চলবে না এবং সর্ব শেষ শর্ত, উপভোক্তা ইতিপূর্বে কোনও সরকারি স্কিমে বাড়ি পেয়ে থাকলে তিনি তালিকা থেকে বাদ পড়বেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি সমীক্ষক দলে তিনজন সরকারি কর্মী থাকবেন। তাঁরা বিডিও অফিস থেকে তালিকা সঙ্গে নিয়ে যাবেন। তাঁরা মোবাইলে নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে Verification করবেন। উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অথবা পোষ্ট অফিসের পাশবই এবং আধার কার্ড সংগ্রহ করে তার তথ্য অ্যাপে আপলোড করবেন। যারা যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, তাঁদের বর্তমান বাড়ি এবং প্রস্তাবিত বাড়ির জায়গার ছবি তুলে তা Geo Tag করবেন। ৩০ অক্টোবরের পর বিডিও এবং জয়েন্ট বিডিও কমপক্ষে ১৫ শতাংশ উপভোক্তার বাড়ি পুনরায় যাচাই করবেন। চূড়ান্ত তালিকা জেলা হয়ে রাজ্যে যাবে। ২০ ডিসেম্বর প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। জানলার উচ্চতা পর্যন্ত নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হলে পুনরায় Geo Tag’র পর দ্বিতীয় কিস্তির ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। শেষ ধাপে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভাঙরের কাশীপুরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরীর প্রতিবাদে কাজ বন্ধ করল গ্রামবাসীরা

মহেশতলা এসবিআই ব্যাংকের চুরির ঘটনায় গ্রেফতার ব্যাংকের প্রাক্তন কর্মী ও তার আত্মীয়

বাংলাদেশীদের সামাজিক বয়কটের ডাক হিন্দু মহাসভার

কৃষ্ণনগরে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের হাত ধরে শতাধিক কর্মীর তৃণমূলে যোগদান

সোমে বিধানসভায় শপথ নেবেন উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের ৬ বিধায়ক

হাতিয়াড়াতে প্রোমোটারের বাহিনীর হাতে আক্রান্ত জমির মালিক, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর