নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পুরুলিয়ার সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার ১০ দিনের মধ্যে রহস্য ফাঁস করল পুলিশ। ২৯ অগস্ট ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তখনই এই ঘটনার পশ্চাতে বিহার-ঝাড়খণ্ড যোগসূত্র পেয়েছিল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। তারপরেই শুরু হয় বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে নাকা তল্লাশি। বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের টিম। শুক্রবার মধ্যরাতে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের সুদামডি থেকে এই ঘটনার অন্যতম কিংপিন করণজিৎ সিং সিধুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় সহযোগী হিসাবে কাজ করা বিকাশ কুমারকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এবার ধৃত করণজিৎ ও বিকাশ কুমারকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধৃত করণজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে ওই ডাকাতির ঘটনায় মোট সাতজন ছিল। তার মধ্যে সে একজন। বাকি নামগুলো আমরা পেয়ে গিয়েছি। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জেলা পুলিশের টিম বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অগস্ট পুরুলিয়ার নামোপাড়ার একটি নামকরা সোনার বিপণিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সাত দুষ্কৃতী প্রায় আধঘণ্টার মধ্যে ডাকাতি সেরে পুরুলিয়ার সীমানা পার হয়ে ঝাড়খণ্ডে পালায়। পুরুলিয়ার বিভিন্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে পুলিশ। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে সিট গঠন করা হয়।
ওই দিনেই রানাঘাটে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ফলে সেদিনই পুরুলিয়া জেলা পুলিশের একটি দল রানাঘাটে টিম পাঠায়। ওই ঘটনার সঙ্গে পুরুলিয়ার ডাকাতির সরাসরি কোনও যোগ না থাকায় সেই দল আবার ফিরে আসে। একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন টিমের ইনপুট থেকে পরে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ জানতে পারে রানাঘাট ও পুরুলিয়া দুটি ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড একজনই।