এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ মানব না, ঘোষণা রাজীবের

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাংবিধানিক ভাবে দেশের যে কোনও রাজ্যের পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচন করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই রাজ্যের নির্বাচন কমিশনকে। সেখানে জাতীয় নির্বাচন কমিশনও(Election Commission of India) কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ডিঙিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের(National Human Rights Commission) মাধ্যমে বাংলার(Bengal) পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayat Election) সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে দিল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। যদিও কেন্দ্রের এই হস্তক্ষেপ ও খবরদারির সামনে মাথা নত করতে রাজী নন বাংলার নয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশনার(West Bengal State Election Commissioner) রাজীব সিনহা(Rajib Sinha)। তিনি কার্যত জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কোনও নির্দেশ মানব না। ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য কোনও সরকারই হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সাংবিধানিক গণ্ডির মধ্যে থেকে আইন মেনে যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তাই নেব।’   

আরও পড়ুন ৩৭ হাজার ভুয়ো সংস্থার GST Registration বাতিল

এই পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেওয়া এক বেনজির সিদ্ধান্ত। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাঁদের সংস্থার DG(Investigation)-কে বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর কেন্দ্র চিহ্নিত করার জন্য নিয়োগ করেছে। তিনি পর্যবেক্ষক হিসেবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যাবেন এবং ‘সম্ভাব্য হিংসার’ সমীক্ষা করবেন। তার ভিত্তিতে মানবাধিকার কমিশন নোটিস দেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। তা খতিয়ে দেখে অমিত শাহের(Amit Shah) মন্ত্রক পঞ্চায়েত ভোটের আগে ও পরে হিংসা রুখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ‘পরামর্শ’ বা ‘Advisory’ দেবে। এখানেই শেষ নয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ‘Advisory’ আসার দু’সপ্তাহের মধ্যে নবান্নকেও ‘Action Token Report’ দিতে হবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে। অর্থাৎ, পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়া মাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি নজরদারির আওতায় চলে এল বাংলা। পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব যেখানে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সংস্থার এহেন ‘হস্তক্ষেপে’র এক্তিয়ার নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে। এমনকি এক্ষেত্রে মামলা দায়ের হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন ১ বছরে স্বাস্থ্যইঙ্গিতে জীবন বাঁচল ৪০০ স্ট্রোক আক্রান্তের

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় হারের পর থেকেই প্রকল্প এবং প্রশাসনের নানা স্তরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। একাধিক সরকারি প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে বঙ্গবাসীর অধিকার খর্বের অভিযোগও উঠেছে। ১০০ দিনের কাজ, আবাস প্রকল্পে বারবার কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে এসেছে। কিন্তু কোনও রিপোর্টেই রাজ্যের প্রাপ্য বন্ধের মতো মজবুত যুক্তি মেলেনি। বিজেপি নেতাদের তোলা যাবতীয় অভিযোগও সারবত্তা পায়নি। তারপরও অবশ্য কেন্দ্রের আচরণ বদলায়নি। এদিনও কমিশনের নেওয়া এই স্বতঃপ্রণোদিত সিদ্ধান্তের নেপথ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি হিংসার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ২০১৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের অশান্তি থেকে শিক্ষা নিয়েই কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের DG(Investigation) রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজটি করবেন। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন জানিয়েছেন, ‘ভারতের কোনও রাজ্যে এই নজির নেই। ত্রিপুরার পঞ্চায়েত ভোটে ৮৪ শতাংশ আসনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। সেখানেও মানবাধিকার কমিশনকে দেখা যায়নি। এখানে কমিশনের নাক গলানো বিজেপির প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিরই প্রতিফলন।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে রাজ্যজুড়ে সাতজনের প্রাণহানি

সোমবার সন্ধ্যায় ঝমঝমিয়ে প্রথম কাল বৈশাখীর বৃষ্টি কলকাতা শহরে

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, সন্দেশখালিতে মিছিল তৃণমূলের

তীব্র দাবদহে নদীয়ার এঁচোড় দেদার রপ্তানি হচ্ছে ভিন রাজ্যে

মালদা ও মুর্শিদাবাদের নির্বাচনে বুথগুলিকে ঘিরে কড়া নজরদারি কমিশনের

সেলিম কাঁটা উপড়ে ফেলে মুর্শিদাবাদ ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর