নিজস্ব প্রতিনিধি: ধুন্ধুমার কাণ্ড বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Viswabharati University) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। টানা ২০ ঘন্টা ঘেরাও হয়ে থাকলেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার আশীষ আগরওয়াল(Ashish Agarwal) ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ। যদিও মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ শিবরাত্রি(Shivratri) উপলক্ষ্যে শিবের মাথায় জল ঢালার অজুহাত দেখিয়ে হামাগুড়ি, গড়াগড়ি দিয়ে বিক্ষোভ মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেন আশীষ। কিন্তু পড়ুয়ারা শুয়ে পড়ে তাঁকে গেটের মুখেই আটকে দেন। সেই সময় সময় নিরাপত্তা কর্মী ও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে পড়ুয়াদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। পড়ুয়াদের দাবি, যত ক্ষণ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি না মানছেন তত ক্ষণ তাঁরা এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে। আশীষের সেই হামাগুড়ি ও গড়াগড়ি খাওয়ার দৃশ্য এদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে যেমন ভাইরাল হয়েছে তেমনি নানা সংবাদমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে।
এই বিষয়ে এদিন আশীষ সংবাদমাধ্যমকে জানান, গতকাল থেকে তাঁর অফিসের ঘরেই বিক্ষোভে বসেছিল পড়ুয়ারা। রাতভর তাঁরা সেই ঘেরাও চালিয়ে যান। তার জেরে তিনিও রাতভর আটকে থাকেন। এ দিন ভোরে তিনি পড়ুয়াদের বেরনোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। শিবরাত্রিতে শিবের মাথায় জল ঢালতে যাবেন বলে বার হতে চেয়েছিলেন। পড়ুয়ারা তাঁর অফিসের সামনে শুয়েছিলেন। তাঁদের গায়ে যাতে পা না লাগে, তার জন্য কার্যত হামাগুড়ি দিয়ে বেরনোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু পড়ুয়ারা তাঁর জামা ধরে টেনে তাঁকে আটকায়। সেই সঙ্গে এদিন তিনি আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে ধর্মাচরণে বাধা দেওয়ার অভিযোগও আনেন। উল্লেখ্য, সোমবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল খোলার দাবি, অফলাইনে পরীক্ষা না নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। তার জেরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আটকে পড়েন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার আশীষ আগরওয়াল ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ।
যদিও এদিন বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, এদিন ভোরে যা হয়েছে তা সবটাই পূর্বপরিকল্পীত ঘটনা। রেজিস্ট্রার ইচ্ছাকৃত ভাবে ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে আনার চেষ্টা করছেন বিক্ষোভকারীদের অপদস্থ করার জন্য। সারা রাত অনেককে ফোন করে নানা পরিকল্পনা করেছেন রেজিস্ট্রার। পরে ভোর ৪টের দিকে তিনি নিজের অফিসে শিবের গান চালাতে শুরু করেন। পরে বলেন, তিনি শিবের মাথায় জল ঢালতে যাবেন। পড়ুয়ারা তাঁকে বাধা দিলে, তাঁদের গায়ের ওপর দিয়েই রেজিস্ট্রার হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। পুরোটাই পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।