এই মুহূর্তে

তিক্ততা কাটিয়ে উঠতে চায় শান্তিকুঞ্জ, যেতে পারেন মমতাও

নিজস্ব প্রতিনিধি: সুসম্পর্কের সুতো ছিঁড়ে গিয়েছিল একুশের ভোটের আগেই। একসঙ্গে না হলেও ধাপে ধাপে অধিকারী পরিবারের প্রায় সবাই জড়িয়েছেন গেরুয়ার বৃত্তে। তিক্ততার শুরু সেই সময় থেকেই। সেই তিক্ততা ক্রমশ চরম বিরোধিতার পথে হাঁটা দিয়েছে। নিত্যদিন আক্রমণ, প্রতি আক্রমণে রাজ্য রাজনীতিও উত্তপ্ত হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Assembly) সৌজন্যের বাতাবরণে মাত্র ৪ মিনিটের মুখোমুখি বৈঠকেই সেই তিক্ততা এবার অতীতের পথে হাঁটা দিয়েছে। তার জেরে অনেক প্রশ্ন উঠছে, অনেক হিসাবনিকেষও শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) যেমন গতকাল শিশির অধিকারীর(Sishir Adhikari) খোঁজখবর নিয়েছেন তেমনি শুভেন্দু অধিকারীও(Suvendu Adhikari) তাঁকে প্রণাম করতেও গিয়েছিলেন বলে সূত্রের দাবি। তিক্ততার বরফ যে গলছে তার ইঙ্গিত মিলেছে কাঁথিতে(Contai) অধিকারীদের বাড়ি শান্তিকুঞ্জের তরফ থেকেও। এরই মধ্যে সব থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তৃণমূল(TMC) সূত্রে। আগামী বছরের শুরুর দিকেই পূর্ব মেদিনীপুরে(Purba Midnapur) একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়ে কাঁথিতে শান্তিকুঞ্জে গিয়ে শিশির অধিকারীকে দেখে আসতেও পারেন তিনি। 

আরও পড়ুন রাজনীতির লড়াই থাকবে, কিন্তু ব্যক্তিগত বিরোধ নয় : ফিরহাদ

শুভেন্দু গতকাল মমতার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সৌজন্যতা থাকবে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে। বিরোধিতা থাকবে রাজনীতির আঙিনায়। কিন্তু সেটাই কী চূড়ান্ত সত্য! সম্ভবত না। বরঞ্চ অধিকারীদের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব কমার ইঙ্গিতই মিলছে। মমতা যেমন গতকাল বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘শিশির দা-কে সম্মান করি’, তেমনি নিজ বাড়ি থেকেই শিশির জানিয়েছেন, ‘উনি যেটা ভাল মনে করেছেন, সেটাই বলেছেন। আমি আমার জায়গায় আছি, উনি ওঁর জায়গায় আছেন। খারাপ কি? সবই ভাল। উনিও ভাল থাকুন। ওঁর মনে হয়েছে উনি বলেছেন।’ শুধু শিশিরই নয়, বরফ যে গলছে তার ইঙ্গিত মিলেছে শিশিরপুত্র তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর গলাতেও। তিনি জানিয়েছেন, ‘সংসদীয় রাজনীতিতে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় যে সৌজন্যের নজির দেখা গিয়েছে, তার জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু ব্যথা যন্ত্রণার কথা তো আমরা ভুলতে পারব না। আমার বাবার ৮৪ বছর বয়স। নেত্রী তাঁকে দাদা বলে সম্বোধন করেছেন। তিনি অভিজ্ঞ ও সচেতন রাজনীতিবিদ। যাঁরা আমাদের অপমান করেছেন, কুকথার বন্যা বইয়ে দিয়েছেন তাঁদের আগামিদিনে নিশ্চয় নেত্রী সাবধান করবেন।’

আরও পড়ুন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘আমরা-ওরা’ নয়, সব বিধায়ককে আমন্ত্রণের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

আর এসবের মাঝেই তৃণমূল সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে সংসদে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের জন্য যে পথ নেওয়া হচ্ছিল তা থেকে সম্ভবত কিছুটা সরে আসছে ঘাসফুল শিবির। খুব দ্রুত শিশিরবাবুর সাংসদ পদ বাতিল নিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষের ওপর বা সংসদীয় কমিটির ওপর আর কোনও চাপ তৈরি করবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এমনকি নতুন ইংরেজি বছরের সূচনা লগ্নে শুভেচ্ছা জানাতে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই শিশিরবাবুকে ফোন করতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী বছরে যদি কাঁথির শান্তিকুঞ্জে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেতে দেখা যায় তাহলেও অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না। শুভেন্দু মুখে যাই বলুন না কেন, দুই শিবিরই চাইছে বরফ গলুক। দূরত্ব কমুক। শান্তি আসুক। প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপট তৈরি হোক। মৌখিক রাজনৈতিক বিরোধিতা হয়তো আরও কিছুদিন থেকে যাবে। তবে সেই সৌজন্যতার পথে দুই শিবিরই হাঁটা দিয়েছে তাতে ভাঙা হাঁড়ি জোড়া লাগা অস্বাভাবিক নয়। রাজনীতিতে সবই সম্ভব।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দেশখালিতে ফের রাজনৈতিক পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ,সংঘর্ষ

হার নিশ্চিত দেখেই দিল্লিতে ছুট বিজেপি প্রার্থী বিস্তার

ইডি-সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে কমিশনের কাছে নালিশ তৃণমূলের

কাঁচড়াপাড়ার মুকুলের বাড়িতে আশীর্বাদ নিতে গেলেন অর্জুন সিং

‘অমৃতা রায়কে দেখলে বোঝা যায় মেকলের উদ্ধৃতি কত দামী’, দাবি ব্রাত্যের

‘একসঙ্গে জ্বালাবে’ লিখে আত্মঘাতী দম্পতি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর