নিজস্ব প্রতিনিধি: এবার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠদের ওপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কেষ্টর ঘনিষ্ঠ বলয়ে থেকে কোন কোন ব্যবসায়ীর সম্পত্তি বেড়েছে, এবার তার খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর কন্যা সুকন্যার নামেও একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্রে দাবি, গরু পাচারের টাকা ঘনিষ্ঠদের কাছে রাখতেন কেষ্ট। নিজের সম্পত্তি কম দেখানোর জন্য একাধিক জায়গায় টাকা ভাগ করে রাখতেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের কাছে সরিয়ে রাখা টাকার একটা অংশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। আর এর পরেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের উপর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দাদের। সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় তদন্তে নেমে ৯৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সেইসব বয়ানকে হাতিয়ার করেই গোয়েন্দারা তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। চিনার পার্কেও অনুব্রতর বেশ কয়েকটি পরিচিত রয়েছে, তাঁদের ওপরেও নজর রয়েছে তদন্তকারীদের।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের নজরে এবার বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতির কন্যার সম্পত্তি। সিবিআই সূত্রের খবর, ২০২১ সালে বোলপুর এলাকায় পৃথক ৬টি জমি রয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যার নামে। তার মধ্যে দুটি জমি রয়েছে বোলপুরের মকরমপুর মৌজায়। চারটি জমি রয়েছে বোলপুর ব্লকের বল্লভপুর মৌজায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার আধিকারিকরা জানতে চাইছেন, এই জমি কেনার টাকার উৎস কী? পাশাপাশি সুকন্যা মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্টের উপরও নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের। সুকন্যার সঙ্গে অনুব্রতর কটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাতে গরু পাচারের টাকা জমা হত কি না তার খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।