নিজস্ব প্রতিনিধি: মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে দেখা সম্ভব। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে এই ব্যবস্থা আগেই করা হয়েছিল পর্ষদ ও সংসদের তরফে। কিন্তু পঞ্চম থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেনীর পরীক্ষার ফলাফল কী দেখা সম্ভব? রাজ্যজুড়ে এখনও এই ব্যবস্থা চালু হয়নি। তবে বাঁকুড়া জেলার(Bankura District) অন্যতম মহকুমা শহর বিষ্ণুপুরের(Bishnupur Town) কীর্তিবাস মুখার্জি হাইস্কুলে(Krittibas Mukherjee High School) এবার এই ব্যবস্থাও চালু হয়ে গেল। সেখানে এখন পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার রেজাল্ট(Exam Result) অনলাইনের(Online) মাধ্যমে দেখার সুযোগ তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর তার জন্য এই স্কুলের পড়ুয়াদের শুধু নিজেদের নাম রেজিস্ট্রেশন করিয়ে রাখতে হচ্ছে। রেজাল্ট বার হওয়ার পর স্কুলের দেওয়া একটি লিঙ্কে সেই নম্বর ও নাম টাইপ করলেই বাড়িতে বসে ছাত্রছাত্রীরা বা দূরে থাকা আত্মীয় বন্ধুরাও দেখতে পারবেন সেই রেজাল্ট।
বিষ্ণুপুর শহরের বুকে থাকা এই স্কুলকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত করার নেপথ্যে রয়েছেন স্কুলের জীববিদ্যার শিক্ষক রমাপ্রসাদ চৌধুরী। জানা গিয়েছে, অনলাইনে রেজাল্ট দেখার সুবিধা পাওয়ার জন্য তিনিই সবার আগে উদ্যোগ নেন। আর এই প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য এগিয়ে আসেন তাঁর প্রাক্তন ছাত্ররা। তাঁর যে সমস্ত ছাত্ররা কম্পিউটার গবেষণার কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি অনলাইনে স্কুলের পড়ুয়ারা যাতে রেজাল্ট দেখতে পান সেই জন্য এই সিস্টেম চালু করেছেন। বর্তমানে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক জীবনের দুটি বড় পরীক্ষার ফলাফলই দেখা যায় অনলাইনে। এক্ষেত্রে স্বীকৃত ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, জন্ম তারিখ সহ বিভিন্ন তথ্য দিলেই জানা যায় নম্বর। তবে বিষ্ণুপুর কীর্তিবাস মুখার্জি হাইস্কুলের তরফে একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়ার হবে। স্কুলের পোর্টালে সেই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হলেই জানা যাবে নম্বর।
হাতের নাগালের মধ্যে রেজাল্ট দেখার সুবিধা পেয়ে খুশি স্কুল পড়ুয়ার পরিবাররাও। তাঁদের কথায়, এখন ঘরে বসেই অভিভাবকরা সন্তানের ফলাফল সম্পর্কে জানতে পারবেন। অর্থাৎ তাঁরা পড়াশোনা কেমন করছে, তার একটি গ্রাফ স্পষ্ট হবে। অনেক সময় অল্প নম্বর পেলে পড়ুয়ারা ফলাফল নিজের পরিবারকে জানাতে চান না। এক্ষেত্রে নম্বর গোপনের প্রবণতা কমবে এবং অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানদের পথ দেখাতে পারবেন। স্কুলের পড়ুয়াদের সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রেও উন্নতি হবে। আপাতত এটি একটি পরীক্ষামূলক উদ্যোগ হিসাবেই দেখা হচ্ছে, তবে আগামী দিনে যে বাংলার সব স্কুলেই এই জিনিস চালু হয়ে যাবে না তার গ্যারেন্টি কোথায়!