নিজস্ব প্রতিনিধি: এখনও উত্তপ্ত রিষড়া (RISHRA)। গতকাল রাতেও নতুন করে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। তারপর এলাকায় গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কথা বলেছিলেন স্টেশন মাস্টার, চন্দননগর সিপি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে। কথা বলেছেন রাজ্য ও রেল পুলিশের সঙ্গেও। হিংসা রোধে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
সোমবার রাতে রিষড়ার ঘটনায় রাজ্যের কাছে নতুন করে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। গতকাল রাতে হয়েছে বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ। ব্যাহত ট্রেন চলাচল। খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। পাল্টা হয় ইট বৃষ্টি। পুলিশের গাড়িতেও লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। আহত হয়েছেন পুলিশকর্মী।
মঙ্গলবার শ্রীরামপুরের বটতলায় অবস্থান করার কথা ছিল বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। সেই ধরনা মঞ্চ খুলে দিয়েছে পুলিশ। কারণ, শ্রীরামপুর জুড়ে জারি ১৪৪ ধারা। ওই এলাকায় সুকান্ত যেতে গেলে ডানকুনির জগন্নাথপুরে তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় বাদানুবাদ। ব্যারিকেড দিয়ে সুকান্তের পথ আটকানো হয়েছে। এদিকে নতুন করে রিষড়ায় অশান্তি ছড়ানোর ঘটনায় গ্রেফতার ৩৬। শিবপুর, রিষড়া, শ্রীরামপুর- এই ৩ জায়গায় ১৪৪ ধারা থাকার জন্য পরপর ৩ দিন পুলিশি বাধার মুখে পড়েন সুকান্ত। সবুজ শিবিরের প্রশ্ন, ১৪৪ ধারা অমান্য করে অশান্ত এলাকায় কেন বারবার ঢুকতে চান তিনি?