নিজস্ব প্রতিনিধি,মালদা: মালদা ও হাওড়ায় অষ্টমীর গভীর রাত থেকে নবমীর ভোর রাতের মধ্যে পরপর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক যুবতি সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। মালদাতে ঠাকুর দেখে বাড়ি যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সাত সকালে মালদা জেলার পুরাতন মালদা থানার(Malda P.S.) মুচিয়া মহাদেবপুরে রামপাড়া এলাকায়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত দুইজনের নাম অভিষেক হালদার ,বয়স(২৭)বছর ও সুজন হালদার বয়স(২২)বছর। তাদের বাড়ি হবিবপুর থানার আইহো ছাতিয়ানগাছি এলাকায়।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, রবিবার তারা নতুন মোটর সাইকেল কেনে। আর সেই মোটরসাইকেল করেই দুই ভাই মিলে গতকাল রাতে ঠাকুর দেখতে এসেছিল মালদা শহরে। ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরছিল আজ সকালে দুই ভাই। সেই সময় মালদা জেলার হবিবপুর থানার বুলবুলচন্ডী এলাকা থেকে একটি মিনি বাস মালদার দিকে আসছিল। অপর দিক থেকে দুই ভাই মোটরসাইকেলে করে মালদা থেকে তারা বাড়ি ফিরছিল। ফেরার পথে মুচিয়া মহাদেবপুরের রামপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল ও মিনি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সুজন হালদার। চিকিৎসা চলাকালীন মালদা মেডিকেলে মৃত্যু হয় অভিষেকের। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবার সহ ছাতিয়ানগাছি এলাকায়। মৃত দুজনের মাথায় হেলমেট ছিল কিনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। অন্যদিকে,বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। আর বাড়ি ফেরা হল না। বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবতীর।
সোমবার ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের মৌখালিতে। অন্যদিকে, হাওড়ার সত্যেন বোস রোডে চুনাভাটি মোড়ে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই যুবকের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাইক আরোহীদের মাথায় হেলমেট ছিল না।রবিবার রাতে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন হাওড়ার শিবপুরের(Sibpur) মন্দিরতলার যুবতী তনুপর্ণা দাস(২২)। তিনি তাঁর বন্ধুর বাইকের পেছনে বসেছিলেন। তাঁদের মাথায় হেলমেট ছিল না। অন্য বাইকে ছিলেন বন্ধুরা। সোমবার ভোররাতে বাইকটি যখন কোনা এক্সপ্রেস ধরে সাঁতরাগাছি থেকে নিবরার দিকে যাচ্ছিল সেই সময় বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গার্ড রেলে ধাক্কা মারে। বাইক থেকে ছিটকে পড়ে রাস্তায় পড়েন তনুপর্ণা।
সেই সময় পিছন থেকে একটি লরি এসে পিষে দেয় ওই যুবতীকে। আহত ওই যুবতীকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে জগাছা থানার(Jagacha P.S.) পুলিশ। চিকিৎসকরা যুবতীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাইক চালক। তাঁর সামান্য চোট লাগে। এদিন ভোরে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারকে ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়। উৎসব চলাকালীন মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার। এটি দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে আর কোনও উদ্দেশ্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘাতক লরির খোঁজে তল্লাশি চলছে।