নিজস্ব প্রতিনিধি: পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুং(Bimal Gurung)-রোশন গিরিদের(Roshan Giri) গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা(GJMM) রীতিমত কোণঠাসা। তারা গোর্খাল্যান্ডের(Gorkhaland) দাবিতে আলাদা মঞ্চ করেও সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। জিটিএ(GTA) চুক্তিভঙ্গ করেও হাওয়া গরম করতে পারেনি। কার্যত প্রতিটি নির্বাচন বলে দিচ্ছে পাহাড়ে(Darjeeling) আর ছিঁটেফোঁটা প্রভাব নেই বিমল গুরুং ও তাঁর দলের। এমনকি মোর্চা ভেঙে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অনীত থাপার(Anit Thapa) ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা BGPM ছাড়া সেভাবে কেউ দানা বাঁধতেই পারছে না। তবে পাহাড়ের রাজনীতিতে ক্রমশ নিজেদের পায়ের নীচের মাটি বাড়িয়েই চলেছে তৃণমূল(TMC)। এই অবস্থায় সমতলের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সঙ্গে পাহাড়েও পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে বলে যেমন শোনা যাচ্ছে তেমনি আগামী বছরই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। সেই প্রেক্ষাপটেই মঙ্গলবার রাতে শিলিগুড়িতে(Silliguri) উত্তরকন্যায়(Uttar Kanya) মুখোমুখি বৈঠকে বসেন রাজ্যের শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক(Maloy Ghatak) ও মোর্চার সাধারন সম্পাদক রোশন গিরি যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন বঙ্গে এবার বিয়ে বিপ্লব, মাত্র ৫০০ টাকায় মালাবদল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে
কিন্তু হঠাৎ করে বৈঠক কেন? প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে কার্যত নিরুপায় হয়েই পাহাড়ের রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য মোর্চা নেতৃত্ব রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে দুই নেতাই এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। গতকাল উত্তরকন্যায় গিয়েছিলেন শ্রমমন্ত্রী। উপলক্ষ্য ছিল টি ডিরেক্টরেটের মিটিংয়ে যোগদান করা। সেই বৈঠক শেষ করে মলয়বাবু দেখে করেন রোশনের সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট আলোচনা হয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, আইনমন্ত্রীর কাছে রোশন জানিয়েছেন, তাঁরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নন। সরকারের সঙ্গেই আছেন। পাহাড়ে টিকে থাকার জন্য তাঁদের রাজনৈতিক লড়াই অনীত থাপার বিরুদ্ধে। তাঁরা বিজেপির(BJP) সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন না বা তাঁদের সোগে কোনও জোটও গড়ছেন না। যদিও অভিজ্ঞদের ধারনা গুরুং বেসুর হতেই রাজ্য সরকারও উদ্যোগী হয়েছিল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের থাকা অভিযোগের ফাইলগুলি নতুন করে আরও একবার খুলতে। সেই আঁচ পেয়েই গুরুং সম্ভবত রোশনকে আইনমন্তড়ীর কাছে পাঠিয়ে রাজ্য সরকারের পাশে থাকার আশ্বাসই দিয়েছেন।