নিজস্ব প্রতিনিধি, মুর্শিদাবাদ ও বারাসত: রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ এলাকার একটি বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।সূত্রের খবর বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে আরও বেশ কিছু ব্যক্তির খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই মুর্শিদাবাদের সুতি থানার(Suti P.S.) অন্তর্গত জগতাই-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন চাঁদরা গ্রামের বাসিন্দা। সুতি থানার নতুন চাঁদরা গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা বাজি তৈরিতে বিশেষজ্ঞ বলে রাজ্যে পরিচিত। তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাজি তৈরির কারখানায় তাদের বিপুল কদর রয়েছে। ২০১৬ সালে পিংলায় একটি বাজি তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণে নতুন চাঁদড়া গ্রামের ৯ জন নাবালক মারা গিয়েছিল। দত্তপুকুর থানা এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানাতে বিস্ফোরণের পর ওই গ্রামের বেশ কিছু ব্যক্তির খোঁজ না মেলায় গ্রামে বাড়ছে আশঙ্কা। তবে গ্রামের কোন কোন বাসিন্দা নিখোঁজ তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন গ্রামবাসীরা।
সূত্রের খবর, জেরাত আলি নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা প্রায় ১০ জনকে বারাসাতে(Barasat) ওই বাজি কারখানায় কাজের জন্য নিয়ে গিয়েছিল। ওই শ্রমিকদের মধ্যে জেরাতের নিজের ছেলে এবং তার দাদা ঈশা শেখের ছেলেরাও রয়েছেন। নিমতিতা বিস্ফোরণের ঘটনাতে জড়িত থাকা এবং বোমার মশলা সরবরাহ করার অভিযোগে ঈশা বর্তমানে এনআইএ-র(NIA)হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল হেফাজতে রয়েছে ।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেরাতেরও পুরনো অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। পাঁচ বছর জেল খাটার পর বছর তিনেক আগে সে ছাড়া পায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈশা এবং জেরাত দুজনেই সম্পর্কে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা শরিফা বিবির আত্মীয়। সুতি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এখনও কোনও শ্রমিকের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের কাছে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ করা হয়নি।যদিও রবিবার বিস্ফোরণের পর থেকে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ এবং সিআইডি(CID)। এরপর গভীর রাতে মূল অভিযুক্ত কেরামত আলির সহযোগী ও ব্যবসায়ী শফিক আলিকে(Safik Ali) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নীলগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, এই বেআইনি বাজির কারখানায় মূল অভিযুক্তের সঙ্গে পার্টনারশিপে ব্যবসা চালাত শফিক।