নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন সাগরদিঘি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের জন্য আগামিকাল বৃহস্পতিবারই রাজ্যে পৌঁছচ্ছে প্রথম দফার কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যে পৌঁছেই এলাকায় গিয়ে রুট মার্চ শুরু করে দেবেন জওয়ানরা। ভোটারদের মনের ভয় কাটানো এবং সমাজবিরোধীদের এলাকা ছাড়ার লক্ষ্য নিয়েই এরিয়া ডমিনেশনের কাজ শুরু করবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তবে গত বিধানসভা ভোটের মতো এবারে যাতে রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ায় তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্ত বাহিনীকে সতর্ক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার অকালপ্রয়াণের কারণেই আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। মূলত ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় ব্লক সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএমের সমর্থনে কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন বাইরন বিশ্বাস এবং বিজেপির হয়ে দিলীপ সাহা। ইতিমধ্যেই ভোটের প্রচার জমে উঠেছে। অবাধ ও নির্বিঘ্নে ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি ও কংগ্রেস। সেই দাবিতে সাড়া দিয়ে মোট ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। প্রথমে ঠিক ছিল, ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু তিন দিন আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিরোধীরা যাতে ভোটগ্রহণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলতে না পারে তার জন্য সাগরদিঘির বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোট ২৪৬টি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হবে। বুথের আশেপাশে রাজ্য পুলিশকে রাখা হবে না। বুথ পাহারার পাশাপাশি ইভিএমও পাহারায় মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। আগামী ২ মার্চ ভোট গণনার কথা রয়েছে।