নিজস্ব প্রতিনিধি: গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (ANUBRATA MANDAL) নিরাপত্তারক্ষীকে। ধৃত সায়গল হোসেনকে (SAIGAL HOSSAIN) বৃহস্পতিবার টানা ৫ ঘণ্টা জেরা করার পর গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। জানা গিয়েছে, গরু পাচার কাণ্ডে তাঁকে জেরা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও ৪ বার জেরা করা হয়েছিল সায়গলকে। ধৃতের বয়ানে অসঙ্গতি পেয়েই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সায়গলের বিলাসবহুল বাড়ি এখন জনশূণ্য। বিরাজ করছে নিস্তব্ধতা।
ধৃত নিরাপত্তারক্ষীর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলের রমনা এতবার নগরে। তবে সেই বাড়ি এখন জনমানস শূণ্য। থমথমে প্রাসাদ প্রমাণ অট্টালিকা। ঝুলছে তালা। জানা গিয়েছে, আয়ের সঠিক হিসাব দিতে না পারায়, গ্রেফতার করা হয়েছে সায়গলকে। তিনি ডোমকলে একাধিক জায়গা কিনেছিলেন। কিনেছিলেন বাড়ি, গাড়ি। অভিযোগ, বেনামেই বেশিরভাগ সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন সায়গল।
অভিযোগ, গরু পাচারের লেনদেন হত সায়গলের হাত ধরেই। গত ১ জুন ও ২ জুন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সায়গলকে। সিবিআইয়ের দাবি, গরু পাচার কাণ্ডে সায়গল জড়িত। এই বিষয়ে একাধিক তথ্য আছে তাদের কাছে। একজন নিরাপত্তারক্ষী কী করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, হিসাব বহির্ভূত স্মপত্তি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, ধৃতের নামে রয়েছে বোলপুর এবং ডোমকলে ২ টি বিলাসবহুল গাড়ি। রয়েছে ডোমকলে একাধিক জায়গা। যার দর কয়েক কোটি টাকা। নিউটাউনে ৩ টি ফ্ল্যাটেরও খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকার গয়না।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদে যখন সায়গল থাকতেন না, তখনও বহু জনের যাতায়াত লেগে থাকত ওই বাড়িতে। জমজমাট থাকত তাঁর বাড়ি। তবে সে সব এখন কিছুই নেই। এলাকা নিস্তব্ধ।