এই মুহূর্তে




সন্দেশখালির ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির অভিযোগ মন গড়া, দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালি নিয়ে বাম বিজেপির মুখ পুড়িয়ে দিল জাতীয় মহিলা কমিশন(National Commission for Women)। দুই শিবির থেকেই দাবি করা হচ্ছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ ও তাঁর সাগরেদরা নাকি মহিলাদের ওপর দিনের পর দিন নারকীয় অত্যাচার করে গিয়েছেন। মহিলাদের রাতে পার্টি অফিসে বাধ্যতামূলক ডেকে পাঠিয়ে নাকি তাঁদের ধর্ষণ ও গণধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানি(Rape Gangrape Molestation) করতো শাহজাহানের সাগরেদরা। সেই সূত্রেই মহিলারা আন্দোলনে নেমেছিলেন এবং শাহজাহান ও তাঁর সাগরেদদের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই দাবি যে কতখানি ভুয়ো ও ভিত্তিহীন তথা মন গড়া(Allegations are Fabricated) সেটা জানিয়ে দিল খোদ জাতীয় মহিলা কমিশন। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা বুঝেছেন মহিলাদের ওপর অত্যাচারের দাবি সম্পূর্ণ ভুয়ো ও মনগড়া। কেননা কোনও মহিলাই তাঁদের কাছে এই ধরনের কোনও অত্যাচারের কথা বলেননি। সবাই জানিয়েছেন, শোনা কথা। তাঁদের সঙ্গে কিছু হয়নি, কিন্তু অন্য কারোর সঙ্গে হয়ে থাকতে পারে।

সরস্বতী পুজোর দিন তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠক করে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) দাবি করেন, বাম আর বিজেপি এক হয়ে বাংলার ভাবমূর্তি এবং তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই সন্দেশখালিতে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনে নামিয়েছে। যে সব কুরুচিকর এবং বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হচ্ছিল সেই সব অভিযোগ যে মিথ্যা ও মনগড়া তা খোদ জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রীতিমত ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে বাইরে থেকে বহিরাগতদের এনে পরিকল্পিত ভাবে সন্দেশখালিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে ২৪’র ভোতে ফায়দা তোলা যায়। বাস্তবে সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর কোনও অত্যাচারের ঘটনা যে ঘতেনি সেটা জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্টই প্রমাণ করে দিল। কমিশনের কাছে একজন মহিলাও দাবি করেননি যে তাঁর ওপর কেউ কোনও অত্যাচার করেছে। সবাই জানিয়েছেন, তাঁরা শুনেছেন কারও কারও সঙ্গে সেই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আসলে সবটাই গল্পে গুজবে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল একটা অশান্তি তৈরি করার জন্য। যারা সেই কাজ করেছিল পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে।

ঘটনাচক্রে সন্দেশখালির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন। জানিয়েছিলেন,‘আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি। আমি আমার জ্ঞান হওয়া থেকে এসব শুনিনি। যা দেখলাম টিভিতে। যেসব কথা ওঁরা বলছেন – বলা হচ্ছে রাতে ফোন করে ডাকা হত। জোর করে মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়া হত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। সেটা জানা থাকলেও, রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ও ক্ষুদ্ধ। প্রশাসন কি জানত না এমন ঘটনা ঘটছে? নাকি পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও চোখ বুজে ছিল?’ কিন্তু বিচারপতির এহেন প্রতিক্রিয়াই এখন প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের দাবিতে। এমনকি কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশও বিচারপতির এহেন মন্তব্যকে সমর্থন জানাননি। এমনকি তাঁরা বিচারপতি অমৃতা সিনহা সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে যে ব্যক্তিকে আদালতবান্ধব হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন, তিনি যেভাবে নানা চ্যানেলে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারের নিন্দা করে বেড়াচ্ছেন তারও তীব্র নিন্দা করেছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নিউটাউন থানার আইসি’কে ৭ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

গেদে সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকদের জমির ফসল লুট করছে বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা

ফারাক্কায় নাবালিকা ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে ৬০ দিনেই বিচার শেষ, শুক্রবার সাজা ঘোষণা

বাংলায় খুন করে গুজরাতে গা ঢাকা, পুলিশের জালে তবলাবাদকের ‘খুনি’

ফিরে দেখা: প্রথমবার মাদারিহাট বিধানসভার দখল নিল তৃণমূল

সীমান্তের ছাত্র-ছাত্রী ও যুব সমাজকে মাঠমুখী করতে বিশেষ উদ্যোগ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর