নিজস্ব প্রতিনিধি,বসিরহাট: বৃদ্ধাশ্রমে স্বজন হারাদের জন্য দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে হাজির স্বয়ং বসিরহাটের মহকুমা শাসক(SDO)। একইসঙ্গে হাতে হাতে শংসাপত্র প্রদান। ধন্যবাদ দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।ফুল ,মিষ্টি, শীতের কম্বল দিয়ে স্বজন হারানোদের কাছে টেনে নিলেন প্রশাসনিক কর্তারা।মুখ্যমন্ত্রীর(CM) প্রয়াসে দুয়ারে সরকারের ৮ম সংযোজনের কাজ চলছে সারা পশ্চিমবঙ্গে জুড়ে। তারই মহান এই পরিকল্পনার বাস্তবিক রূপায়নে সদা প্রস্তুত বসিরহাটের মহকুমা শাসক আশিষ কুমার(Ashis Kumar) ।
তার ব্যক্তিগত ইচ্ছাশক্তির উপর ভর করে বসিরহাটের “ আপন আলয় “ বৃদ্ধাশ্রমে ৮,জন বিধবা মহিলা স্বজন থাকা স্বত্বেও যারা ” চির স্বজন হারা “ তাদের দরবারে মহকুমা শাসক , ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট চিত্তজিত বসু সহ আরও অনেকে উপস্থিত হন এবং সরাসরি স্বাস্থ্যসাথী, বিধবাভাতা, খাদ্যসাথী ও অন্যান্য দুয়ারে সরকারের পরিষেবা প্রদান করা হয় ৷ যা পেয়ে ভীষণভাবে পরিতৃপ্ত হন বিধবা মায়েরা ৷ সাথে সাথে শীতের কম্বল, ফল, মিষ্টি এমনকি টয়লেট(Toilet) করার জন্য পেমপাসও ব্যক্তিগতভাবে মহকুমা শাসক প্রদান করেন বিধবা মায়েদের ৷ বসিরহাটের(Bashirhat) মহকুমা শাসকের দুয়ারে সরকারের এই ভাবনাকে সাধুবাদ জানান বৃদ্ধাশ্রমের পরিচারিকা সহ মাননীয়া চেয়ারপার্সন অদিতি মিত্র মহাশয়া ।
এছাড়া বৃদ্ধাশ্রমে উপস্থিত পুষ্পরানী ঘোষ যিনি খাদ্যসাথী কার্ডের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন, সরাসরি মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতে তৎক্ষনাত রেশন ডিলারের(Ration Delar) পরিবর্তন করে খাদ্যসাথী প্রকল্পটি চালু করা হয় ৷ বৃদ্ধা মা দেবলা দাস, মীরা মিত্র সহ অন্যান্যদেরকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড(Sasthya Sathi Card) ও বার্ধক্যভাতা পরিষেবা দেবার জন্য সমস্ত কাগজগুলি মহকুমা শাসকের করনে দ্রুত জমা করার আবেদন করেন এবং পরিষেবা দেবার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন ৷ এই সুবিধা পেয়ে রীতিমতো ধন্যবাদ দিয়েছেন ওই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা। রাজ্য সরকারের এতদিন যে প্রকল্প পাচ্ছিল না হাতেনাতে সরকারি প্রকল্পের সংশয় পত্র পেয়ে রীতিবো তো খুশি বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নেওয়া মায়েরা।