নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্ধমানের মাটি থেকে বড় বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই বার্তা একদিকে যেমন নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রার্থীদের, তেমনিই তা আদালতকেও। যদিও সেই বার্তায় কাজের কাজ কিছু হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কেননা যে কেউ যখন তখন মামলা করে যে কোনও নিয়োগ আটকে দিতে পারে। এদিন পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdwan) জেলার সদর শহর বর্ধমান টাউনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্ধমান শহরের গোদার মাঠে তিনি একটি সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানেই তিনি রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের(School Teachers Recruitment) বিষয়ে আবেদন জানান আদালতকে(Court) উদ্দেশ্য করে।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক হাজার শিক্ষক নেব। শিক্ষকের পদ আমাদের রেডি আছে। কিন্তু কোর্ট কেসে আটকে রেখে দিয়েছে সিপিএম-বিজেপি(CPIM – BJP)। ইয়ং ছেলেমেয়েদের চাকরি হচ্ছে না। নাহলে শুধুমাত্র শিক্ষক পদেই ৬০ থেকে ৭০ হাজার চাকরি হত। যদি কোথাও অন্যায় হয়ে থাকে, তা খুঁজে বের করা হোক। কিন্তু অবিলম্বে শূন্যপদে চাকরি হোক। আমরা রেডি হয়ে বসে আছি। প্লিজ, শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিন। এই শূন্যপদে লোক নিয়োগ হলে লক্ষ লক্ষ চাকরি হবে। কিন্তু সরকারের হাত-পা বাঁধা। কিছু লোক মামলা করে আটকে রেখেছে। কিছু লোক আছে, যারা ভোটে জেতে না। কিন্তু কোর্টে চলে যায়। কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। আদালত সংশোধন করুক। তাতে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু শূন্যপদে নিয়োগ যেন আটকে না থাকে। আমি কোনও বিচারপতি সম্পর্কে কিছু বলব না। তবে কোনও রায়ের সমালোচনা করতেই পারি। আমি আইন পড়েছি, আমি জানি কী করা যায় বা যায় না।’
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে শাসকদলের একাধিক নেতা জেলবন্দি। হাজার দিনের বেশি হয়ে গেল চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে যখন প্রতিদিন বিরোধীরা রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে, তখন নিয়োগের বিষয়ে আদালতের উদ্দেশে এদিনের মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন কতটা আদালত গুরুত্ব দেয় সেটাও দেখার বিষয়। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, মামলার জট যেভাবে পেঁচিয়ে গিয়েছে তা ছাড়ানো খুবই সময়স্বাপেক্ষ। আবার সেই সব জট কাটলেও নতুন করে যে মামলা হবে না তার গ্যারেন্টি কি! তখন তো আবার নতুন করে জট পাকাবে। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন ঠিকই, কিন্তু খুব দ্রুত কিছু হওয়া সম্ভব নয়। এক আদালত যদি এবিষয়ে বাড়তি সক্রিয় হয় তাহলে নিয়োগের জট কাটতে পারে।