নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য রাজনীতিতে দুই দল সম্পূর্ণ বিপরীত দুই মেরুর বাসিন্দা। একে অপরের বিরুদ্ধে সদাই আক্রমণ শানিয়ে চলেছে। অথচ সোমবার তাঁদেরই দেখা গেল ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে। নজরে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই(SFI) ও তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি(TMCP)। এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে(Viswabharati University) হস্টেল খোলার দাবিতে যৌথ আন্দোলনে নামে এই দুই ভিন্ন মেরুর রাজনৈতিক দলের দুই ছাত্র সংগঠন। মূলত হস্টেল খোলা, অফলাইনে পড়াশোনা শুরু এবং পরীক্ষার নেওয়া-সহ একাধিক দাবিতে তাঁরা আন্দোলনে নামে। আর সেই আন্দোলনের জেরেই এদিন বেলার দিকে আন্দোলনকারীরা পাঠভবনের গেট টপকে ভেতরে ঢুকে যায় ও সেখানে যে ক্লাস চলছিল তা বন্ধ করে দেয়। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের বাধা দিতে এলে রীতিমত তাঁদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। যার জেরে মুহুর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, এদিন বেলার দিকে মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালায় ক্লাস চলছিল। আচমকাই গেটের সামনে গিয়ে জনা কয়েক পড়ুয়া বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি করে বলতে থাকেন মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়াতে হবে। মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার গেটের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের জমায়েত হঠাতে গেলে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মীরা। সেই সময় গেটের তালা খোলার দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরারা। কিন্তু তালা না খোলায় আনন্দ পাঠশালার গেট টপকে তাঁরা পাঠভবন চত্বরে ঢুকে পড়েন। বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্লাস। পাশাপাশি দুপুরের দিকে তাঁরা বিশ্বভারতীর কর্মসচিবের অফিস ঘেরাও করে। কেন্দ্রীয় অফিসের ভিতরে ঢুকে কর্মসচিবের অফিসের সামনে রীতিমত ধর্ণায় বসে পড়ে তাঁরা। ঘেরাও হওয়ার পরে কর্মসচিবও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মাটিতে বসে পড়েন। কোভিড পরবর্তী সময়ে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হস্টেল খোলা হলেও বিশ্বভারতীর হস্টেলে এখনও ঢুকতে পারছেন না পড়ুয়ারা। আর তার জেরেই এদিনের এই দফায় দফায় বিক্ষোভ। পড়ুয়াদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের দাবি মানা হচ্ছে ততক্ষণ তাঁদের আন্দোলন চলবে।