নিজস্ব প্রতিনিধি: ২৪ ঘন্টা আগেই তিনি পা রেখেছেন ৫৩ বছরে। আর এদিনই কিনা তাঁকে শুনতে হল ‘চোর চোর চোর’ শ্লোগান(Chor Chor Chor Slogan)। আর সেটাও কিনা এই বাংলার(Bengal) মাটিতে। এর থেকে বড় লজ্জা আর কী হতে পারে। যে এলাকায় তিনি যাচ্ছেন মান্যগন্য নেতা হিসাবে সেখানেই কিনা তাঁকে ‘চোর’ শব্দে বিঁধে দেওয়া হচ্ছে। এর আগেও বাংলায় অনেকেই বিরোধী দলনেতা বা দলনেত্রী ছিলেন। সেই তালিকায় আছেন জ্যোতি বসু(Jyoti Basu) থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Mamata Banerjee)। কিন্তু তাঁদের কাউকেই কোনওদিন ওই পদে থাকাকালীন সময়ে ‘চোর চোর চোর’ শ্লোগান শুনতে হয়নি, যা এদিন শুনতে হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে(Suvendu Adhikari)। এদিন অর্থাৎ শনিবার উত্তরবঙ্গের(North Bengal) জলপাইগুড়ি জেলার(Jalpaiguri District) চালসায়(Chalsa) শুভেন্দুকে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বিঁধেছেন সেই গা জ্বালানো শ্লোগান ‘চোর চোর চোর’ বলে।
শুধু তাই নয়, এদিন সকাল থেকেই তৃণমূলের তরফে চালসা জুড়ে প্রচার করা হয়েছে মাইক নিয়ে। তাতে বলা হয়েছে, ‘বাংলার সব থেকে বড় চোর আসছে চালসায়। সবাই ভাল করে বাড়র দরজা জানলা বন্ধ করে রাখুন। নাহলেই চোর চুরি করে পালাবে।’ এদিন যখন সড়কপথে শুভেন্দু চালসায় ঢুকছেন তখন রাস্তার ধারে এলাকাবাসীর একাংশ পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁর উদ্দেশ্যে ‘চোর চোর চোর’ শ্লোগান দেন। দেখানো হয় তাঁকে কালো পতাকাও। সেই সঙ্গে তিনি কেন ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা, স্বাস্থ্য খাতের টাকা, মিড ডে মিলের টাকা আটকে দিয়েছেন, সেই প্রশ্নও করা হয়েছে।
শুভেন্দু অবশ্য সেই সব নিয়ে মাথা ঘামাননি। তবে একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, বিজেপি এবং তিনি তৃণমূলের নেতানেত্রীদের বিঁধতে যে ‘চোর চোর চোর’ শ্লোগান আমদানি করেছিলেন, এখন সেই শ্লোগান তাঁদেরই বেশি করে বিঁধছে। এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘কেন চোর চোর চোর শ্লোগান তুলবে না। গোতা বাংলার মানুষ টিভিতে নারদার টাকা নিতে শুভেন্দুকে দেখেছে। হাত পেতে টাকা নিয়েছে।’