নিজস্ব প্রতিনিধি: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং কাণ্ডে এক পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে যখন বাংলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ঠিক তখনই বিভাগীয় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মানসিক হেনস্থার অভিযোগ তুলে অনশনে বসলেন(Hunger Strike) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Viswa Bharati University) নৃতত্ব বিভাগের(Department of Anthropology) ৬ জন ছাত্রী(Female Students)। সোমবার তাঁরা বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ থেকে কিছুটা দূরে ক্লাব মোড়ে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের বিভাগের এক অধ্যাপক ছাত্রীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মানসিক নির্যাতন করছেন। যদিও এ নিয়ে মুখ খোলেননি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে বিক্ষোভকারী ছাত্রীরা মুখে ওড়না ঢাকা দিয়ে তাঁদের বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন। তাঁরা নাম প্রকাশেও অনিচ্ছুক।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও ফের রেল রোকোর ডাক কুড়মিদের
অনশনকারী এক ছাত্রী এই বিক্ষোভ নিয়ে এদিন বলেন, ‘অনেক দিন ধরে মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে আমাদের। আমরা কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তার প্রেক্ষিতে ৩ জনকে ডাকা হলেও কোনও ফল হয়নি। এখন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। অনেকেই ভয়ে প্রকাশ্যে আসতে পারেন না। তাঁদের হয়ে আমরা কর্মসূচি শুরু করেছি। আগামী দিনে হয়তো আমাদের আইনি সাহায্য নিতে হতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন আশ্রমিকেরা। বিভাগীয় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনায় এবার নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উদ্যোগপতি বানাতে তৈরি হবে ‘বিত্ত সখীদের দল’
জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীর নৃতত্ব বিভাগের অধ্যাপক অর্ণব ঘোষ(Professor Arnab Ghosh) ছাত্রীদেরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করছেন। নানানভাবে ছাত্রীদেরকে অত্যাচারিত হতে হচ্ছে। অনেক সময় ইচ্ছা করেই পাশও করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এ বিষয়ে বারবার বিভাগীয় প্রধান-সহ বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে জানানোর পরও কোনও কাজ হয়নি। সেই কারণেই বাধ্য হয়েই অবস্থানের সিদ্ধান্ত। পড়ুয়াদের সাফ বক্তব্য, এরপরও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা আগামীতে প্রশাসন ও আইনের দারস্থ হতে বাধ্য হবেন।