নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবারের পর ফের সোমবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে সাপে কামড়ানোর ঘটনা ঘটল। এবারও ঘটনাস্থল সেই চন্দ্রকোনা। রবিবার চন্দ্রকোণার পলাশচাবাড়ি নিগমানন্দ হাইস্কুলের ছাত্র গৌতম ঘোষকে সাপে কামড়ানোর ঘটনা সামনে এসছিল। এবার সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে সাপে কামড়াল আরেক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সঞ্জয় টুডুকে। কাঁয়াপুর হাইস্কুলের ছাত্র সঞ্জয় টুডু। রাতেই তাকে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বসেই মঙ্গলবার পুলিশ ও চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা দেয় সঞ্জয়। পাশাপাশি এদিন চন্দ্রকোনার এই হাসপাতালের অন্য ঘরে বসে পরীক্ষা দেয় গৌতম ঘোষও।
মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকেই ইংরেজি পরীক্ষা দেয় এই দুই পড়ুয়া। হাসপাতালের বিএমওএইচ জানিয়েছেন, দুই ছাত্রের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কোনও রকম অসুবিধা লক্ষ্য করা গেলেই দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান তিনি। অদম্য জেদ নিয়ে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা এভাবে দেওয়ায় তাদের বাহবা দিচ্ছেন শিক্ষক-চিকিৎসকরা। অন্যদিকে এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। এলাকায় এখনও বেশিরভাগই বাড়ি মাটির তৈরি। এক রাতের ব্যবধানে দুই ছাত্রকে সাপে কাটায় উদ্বেগে প্রশাসনও।
রবিবার রাতে বাড়িতে পড়ার সময় গৌতমকে সাপে কামড়ায়। ওইরাতে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কিন্তু জেদ ছিল পরীক্ষা দেওয়ার। সোমবার বাংলা পরীক্ষার দিনে নির্দিষ্ট সময়েই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছায় গৌতম। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীন কর্তব্যরত শিক্ষকরা লক্ষ্য করেন, আচমকাই তার শরীর নীল হচ্ছে। অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। গৌতমের সঙ্গে মঙ্গলবারই হাসপাতালে দেখা করে স্থনীয় বিডিও অমিত ঘোষ সবরকম প্রশাসনিক সাহায্যের আশ্বাস দেন। বিডিও জানান, হাসপাতালেই যাতে ওই পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।