নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোট (ELECTION) ডিউটির প্রশিক্ষণে কেন অনুপস্থিত, তা জানতে চেয়ে ক্যান্সার আক্রান্তকে শো-কজ করে চিঠি পাঠানো হল। আর সেই চিঠি এল সোজা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে! আর এই ঘটনায় আঙুল উঠছে নির্বাচন কমিশনের দিকে। সকলেই একবাক্যে এই ঘটনাকে ‘অমানবিক’ বলেছেন এককথায়। ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী সকলেই। রোগাক্রান্ত ব্যক্তি কুলটির বরাকর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী।
জানা গিয়েছে, আসানসোলের বরাকর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী বাপি দাস আক্রান্ত ক্যান্সারে। তাঁর চোয়ালে ক্যান্সার (Cancer) হয়েছে। ছুটি নিয়েছেন গত মাসের ১০ তারিখ থেকে চলতি মাস এপ্রিলের আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত । আর চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে। তাঁকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল ভোটের ডিউটির জন্য। দ্বিতীয় পোলিং অফিসারের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল সেই চিঠিতে। সুদূর মুম্বাইয়ের হাসপাতালে ভর্তি থাকার জন্য তিনি সেই চিঠি নিতে পারেননি। অসুস্থ থাকার কারণে যাননি প্রশিক্ষণে অংশ নিতেও। আর তাই এক পুলিশকর্মীকে দিয়ে শো-কজ চিঠি পাঠানো হয় তাঁর কর্মস্থল স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই। অভিযোগ, মেডিক্যাল অফিসার অনির্বাণ রায়কে বলা হয়, দ্রুত জবাব দেওয়ার জন্য।
ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়, এখন অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ভয়ঙ্কর এই রোগের চিকিৎসার জন্য মুম্বাইয়ে বাপি। মানসিক যন্ত্রণা আরও বেশি। এই সময় শো-কজ চিঠি পাঠানো চূড়ান্ত অমানবিক। এতে বাপির কষ্ট আরও বাড়বে। জানা গিয়েছে, আক্রান্তের এই সময় কেমোথেরাপি চলছে এবং তিনি যন্ত্রণায় ছটফট করছেন।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সন্দীপ টুডু। তিনি বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। সেই সঙ্গে বলেন, এই বিষয়টি তিনি জানতেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন। যারা আসেননি সকলকেই শো-কজ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, সম্ভবত সময় মতো চিঠি পৌঁছায়নি তাঁর কাছে বা ওই কর্মীর কর্মক্ষেত্র থেকে রোগাক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি সঠিক সময় মতো জানানো হয়নি।