নিজস্ব প্রতিনিধি: তীব্র চাঞ্চল্য মায়াপুর(Mayapur) জুড়ে। অভিযোগ উঠেছে ইস্কনের(ISKON) এক পুরুষ সন্ন্যাসীর(Male Monk) বিরুদ্ধে। গোপাল দাস প্রভুজি নামের ওই সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছে ইস্কনেরই পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীরা(Male Security Gaurds)। তাঁদের অভিযোগ, চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের ভয় দেখিয়ে ওই সন্ন্যাসী দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের ধর্ষণ(Rape) করে চলেছেন। তাঁদের জোর করে তাঁর সঙ্গে পায়ু সঙ্গমে লিপ্ত হতে বাধ্য করছেন। সেই সব ঘটনা যাতে কেউ জানতে না পারে তার জন্য ওই সন্ন্যাসী খুনের হুমকিও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিত পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, ওই সন্ন্যাসীর যৌন অত্যাচারে তাঁদের প্রত্যেকের পায়ুদ্বার ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে। একসময় বাধ্য হয়েই তাঁরা পুলিশে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয়েছেন। এই ঘটনা সামনে আসতেই যেমন অভিযুক্ত সন্য্যাসী গা ঢাকা দিয়েছে তেমনি ইস্কন কর্তৃপক্ষও তাঁকে ইস্কনের ‘চিফ কো-অর্ডিনেটর’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বরখাস্ত করেছে।
আরও পড়ুন বেতন বিভ্রাট কলকাতা পুরনিগমে, ২ মাস মাইনে পাননি ২৭জন
জানা গিয়েছে, নদিয়া জেলার মায়াপুরে ইস্কনের প্রধান কার্যালয়েই বসতেন অভিযুক্ত সন্ন্যাসী। অভিযোগকারী নিরাপত্তারক্ষীদের অভিযোগ, ওই সন্ন্যাসী দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর কার্যালয়ে তাঁদের ডেকে এনে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করতেন। তাঁদের বাধ্য করতেন পায়ু সঙ্গমের পাশাপাশি মুখমেহন ও বীর্য পানে বাধ্য করতেন। অভিযোগকারীদের আরও অভিযোগ, শুধু তাঁদেরই নয়, ইস্কনের আরও কিছু তরুণ যুব সন্ন্যাসীর সঙ্গেও যৌন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ওই সন্ন্যাসী। সূত্রে জানা গিয়েছে থানায় যাওয়ার আগে ওই নিরাপত্তারক্ষীরা বিষয়টি ইস্কন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। সেই সময় ওই অভিযুক্ত সন্ন্যাসী দাবি করেছিলেন, কয়েক জনের কাজে গাফিলতি ধরে ফেলায় তাঁকে হেনস্থার জন্য এই সব অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনিও তাই অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে নবদ্বীপ থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন নজরে OMR Sheet, কারচুপি ঠেকাতে তৎপর PSC
যদিও বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেননি ইস্কন কর্তৃপক্ষ। নবদ্বীপ থানায়(Nabadwip PS) এই মর্মে অভিযোগ দায়ের হতেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ওই সন্ন্যাসীকে সমস্ত দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেছেন ইস্কন কর্তৃপক্ষ। ইস্কন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে এ ব্যাপারে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগেও একাধিক বার ওই সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। তবে অভিযোগের পরেও তা কোনও কারণে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন দুই অভিযোগকারী। এখন ওই সন্ন্যাসীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৭৭ এ, ৫০৬ ধারায় নবদ্বীপ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই বিষয়ে ইস্কনের দাবি, আইন আইনের পথে চলবে। কে দোষী তার বিচার করবে আদালত।