এই মুহূর্তে




পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আবাসের সমীক্ষায় নয়া নিয়ম জুড়লো রাজ্য

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের ৫টি জেলা বাদে বাকি সব জেলায় শুরু হয়েছে বাংলা আবাস যোজনার(Bangla Awas Yojna) সমীক্ষা। আবাস যোজনায় বাড়ির টাকা পেতে হলে এই সমীক্ষার(Survey) সময়ে তালিকায় নাম থাকা উপভোক্তাদের(Consumer) তাঁদের বর্তমান বাড়ির সামনে শারীরিক উপস্থিতি থাকতেই হবে। কেননা সমীক্ষার সময়ে উপভোক্তার ছবি, তাঁর বাড়ির ছবি যেমন তোলা হচ্ছে তেমনি করা হচ্ছে জিও ট্যাগিংও(Geo Tagging)। কিন্তু সমীক্ষার শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছিল সমস্যা হচ্ছে সেই সব উপভোক্তাদের নিয়ে যারা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক(Migrant Workers)। যেহেতু তাঁরা কর্মসূত্রে এখন বাইরে রয়েছেন তাই তাঁদের নাম তালিকায় থাকা উপভোক্তা হিসাবে কাটা পড়তে চলেছিল তাঁদের শারীরিক উপস্থিতি না থাকায়। সেই সমস্যার কথা উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কানে। সেই কথা শুনেই তিনি রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, আবাসের সমীক্ষার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকরা না থাকলেও হবে, শ্রমিকদের কোনো নিকট আত্মীয় থাকলেও হবে। তবে দ্বিতীয় দফার ভেরিফিকেশনের সময়ে তাঁকে থাকতেই হবে, এই নির্দেশ জেলায় জেলায় পৌঁছে দিতে। সেই নির্দেশ মেনেই এদিন থেকে সমীক্ষায় নতুন নিয়ম জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন, ‘ডানা’র বৃষ্টিতে ৩ জেলার চাষে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব শুরু, ধাক্কা ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে

রাজ্য প্রশাসনের তরফে জেলা প্রশাসনগুলিকে জানানো হয়েছে, আবাস যোজনায় প্রথমবার ৬০ হাজার টাক্লা দেওয়া হবে। সেই টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তার ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক ভাবে করতে হবে। তবে সেই উপভোক্তা যদি পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে থাকে তাহলে তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য ভেরিফিকেশনের সময় থাকলেই হবে। তবে দ্বিতীয় দফায় যখন ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হবে, তখন আবার যে ভেরিফিকেশন(Verification) হবে, সেই সময় ওই পরিযায়ী শ্রমিককে সশরীরে সেখানে থাকতে হবে। সেই সময় ওই পরিযায়ী শ্রমিক না থাকলে আর দ্বিতীয় দফার টাকা মঞ্জুর করা হবে না। এখন সমীক্ষাকালে দেখা যাচ্ছে মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলায় অনেক উপভোক্তাই কর্মসূত্রে বাইরে রয়েছেন। অথচ তাঁদের নাম রয়েছে আবাসের তালিকায়। এদের কেউ ঈদে এসে ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরে গিয়েছেন। কেউ বা পুজোর ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরে গিয়েছেন। আর এদের অনুপস্থিতির কারণে ভেরিফিকেশনও হচ্ছে না। এই অবস্থায় এদের নাম কাটার আগে বিষয়টি কিছুদিনের জন্য ‘হোল্ড’ করে রাখা হয়েছিল। এখন নবান্ন থেকে নয়া নির্দেশ আসায় সেই মতন কাজ হচ্ছে।

আরও পড়ুন, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে চালু হচ্ছে সরকারি দূরপালার বাসের আসন সংরক্ষণের সুবিধা

নতুন নিয়মে যেখানে উপভোক্তা পরিযায়ী শ্রমিক হওয়ার জন্য বাড়িতে থাকতে পারছেন না সেখানে ওই শ্রমিকের বাবা-মা অথবা স্ত্রী কিংবা স্বামী এবং ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোনও একজনের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদের কারও একজনের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে এবং বলে দেওয়া হচ্ছে, দ্বিতীয় দফার টাকা দেওয়ার আগে যখন আবার ভেরিফিকেশন হবে তখন যেন মূল উপভোক্তা অবশ্যই সেখানে সশরীরে হাজির থাকেন। নাহলে বাকি ৬০ হাজার টাকা আর পাওয়া যাবে না। তবে সেক্ষেত্রে প্রথম দফায় পাওয়া ৬০ হাজার টাকা ফেরত চাওয়া হবে কিনা তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট নয় জেলা প্রশাসনগুলি। কেননা এই নিয়ে কোনও নির্দেশ নবান্ন থেকেও পাঠানো হয়নি। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার নিজ খরচে রাজ্যের প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষকে বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি করে দিতে চলেছে। সেই বাড়ি নির্মাণের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। সেই সূত্রেই চলছে সমীক্ষার কাজ যে কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন, আর কারা নন।  




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নদিয়ায় ৫ বিঘা জমি ভাগীরথী নদীর গর্ভে তলিয়ে গেল, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

অশালীন মেসেজ, কুপ্রস্তাব … , স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ

ট্যাব কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার যুবক ,মালদা জুড়ে চলছে তল্লাশি

আধাসেনার সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশ, উপনির্বাচনের আগে জানিয়ে দিল কমিশন

চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু নৈহাটির যুবকের, ঘটনার জেরে গ্রেফতার ২০

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর