নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২০ সালের মার্চ মাসের শেষে দেশজুড়ে বন্ধ হয় স্কুল। করোনা নামক ভাইরাসের ঠেলায় ক্লাসে গিয়ে পঠনপাঠন লাটে ওঠে। ধীরে ধীরে পরস্থিতি স্বাভাবিক হলেও রাজ্যে এখনও স্কুল খোলা হয়নি। তবে অগস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুজোর পর ধাপে ধাপে স্কুল খোলা হবে। আর তাই প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। দীর্ঘ কিছু মাস স্কুল বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িগুলি। তাই রাজ্যের স্কুল বাড়ি গুলি মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা স্কুল ভবনগুলি সারাইয়ে জন্য ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মোট ৬ হাজার ৪৬৮টি স্কুল মেরামতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন পুজোর পর স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা রয়েছে। সেইমতোই এই অর্থ বরাদ্দ করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কালীপুজোর মধ্যে প্রত্যেকটি স্কুল মেরামতি করে ক্লাসযোগ্য করে তুলতে হবে। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিল্ডিং ও ক্লাসরুম গুলি। এছাড়াও বন্যার ত্রাণে ব্যবহার করা স্কুল গুলিতে রয়েছে চূড়ান্ত অব্যবস্থা। তাই পড়ুয়াদের অসুবিধা না হয় সেইজন্যই এই অর্থের মাধ্যমে স্কুল সারাইয়ের কাজের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। করোনার সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে, তাই রাজ্যে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্যে স্কুল খুলেছে। মূলত নবম-দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য খোলা হয়েছে স্কুল, যেহেতু তারা বোর্ডের পরীক্ষা দেয়। বাকিদের অনলাইন চলছে কিছু রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা জানা যাবে খুব শীঘ্রই।
ইতিমধ্যেই কলেজ খোলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য। পড়ুয়াদের টিকাকরণের মাধ্যমে ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়তে চাইছে শিক্ষা দফতর। বিভিন্ন জেলাতে চালু হয়েছে সেই টিকাকরণের কাজও।