নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আবহাওয়ার মুখভার। দুর্যোগের আবহে বাড়ছে রোগের প্রাদুর্ভাব। মাথাচাড়া দিয়েছে ডেঙ্গু। এছাড়াও রয়েছে ভাইরাল জ্বর-সর্দি-কাশি। এই প্রেক্ষিতে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রুখতে কঠোর পদক্ষেপ নিল রাজ্য। প্রেসক্রিপশন অডিট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালের সিসিইইউ-তে নিয়মিত সোয়াব সংগ্রহ করে সংক্রমণের গভীরতা মাপার স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব।
অকারণে ডাক্তারেরা অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করেন। ডব্লুবিসি কাউন্ট, কালচার সিনসেটিবিটি না দেখেই বহু ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দিচ্ছেন রোগীকে। এমনকি রোগীরা নিজেও ওষুধের দোকান থেকে কিছু সমস্যা হলেই অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খান। ফলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। মানে রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাচ্ছে। আগে ‘আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট’ সংক্রমণ কমাতে পেনিসিলিন গ্রুপের ড্রাগ ব্যবহার করা হত। এখন অনেক ক্ষেত্রেই সেফালোস্ফোরিন ছাড়া কাজ হচ্ছে না। তাই অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছাচার রুখতে এবার পদক্ষেপ গ্রহণ করার পথে হাঁটল স্বাস্থ্য দফতর।
হাসপাতালগুলি নিয়মমাফিক জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছেনা। ফলে হাসপাতালে গিয়েও সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে। ফলে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের পরিমাণ বাড়ছে। বাড়ছে সেপসিসে মৃত্যু। সম্প্রতি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ৩২ হাজার কেস স্ট্যাডি করে একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়। রিপোর্টে মেলে, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারে বাংলা শীর্ষে। এরপরই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ স্বাস্থ্য সচিবের।