নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: ছেলের মোবাইল ফোনে ‘অশ্লীল’ চ্যাট দেখে ফেলেছিলেন মা। অনলাইন ক্লাসের ফাঁকেই চলছিল সেক্স চ্যাট! তাই ছেলের সেই বন্ধুকে শাসাতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন মা। ঘণ্টাখানেক পর বাড়ি ফিরে দেখলেন ছেলে উধাও। পলাতক কিশোর নবম শ্রেণির ছাত্র, তাও আবার ক্লাসের ফার্স্ট বয়। ছেলেকে ফিরে পেতে চুঁচুড়া থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেছেন ওই ছাত্রের বাবা। ঘটনাটি হুগলির চুঁচুড়া আমড়াতলা এলাকার। শুক্রবার রাত থেকেই পলাতক ওই নবম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়েছে শিক্ষামহলে।
জানা যাচ্ছে, বরাবরই মেধাবী ওই ছাত্র কখনও দ্বিতীয় হয়নি। পূর্ত দপ্তরের কর্মী নির্মল দাস ও তাঁর স্ত্রী রুবির একমাত্র সন্তান সে। কিন্তু করোনাকালে অনলাইন ক্লাস চালু হতেই বিপত্তি। আশানুরুপ ফল হচ্ছে না। ফলে সন্দেহ হয় ওই ছাত্রের মায়ের। ছেলের ওপর নজর রাখতে থাকেন তিনি। এরপর ছেলের স্মার্টফোন ঘাঁটতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ। কিশোরের মা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে ছেলে তখন বাড়ি ছিল না। তখনই ছেলের মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে তিনি দেখেন এক বন্ধুর সঙ্গে নিয়মিত সেক্স চ্যাট করে সে। বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল ম্যাসেজ ও ভিডিও আদান-প্রাদান চলছে।
ব্যাপারটা বুঝতে তিনি ছেলের পরিবর্তে ছেলের ফোন থেকে ওই কিশোরকে নিজেই কয়েকটি মেসেজ করেন এবং উত্তরও পান। এরপর আর বুঝতে অসুবিধা হয়নি ছেলের খারাপ ফলের কারণ। এরপর ছেলে ফিরতেই চলে একপ্রস্থ বকাঝকা। সন্ধ্যায় ওই কিশোরের বাবা-মা কাপাসডাঙায় সেই বন্ধুর বাড়ি জান নালিশ ঠুকতে। সেই ফাঁকে লজ্জায় জমানো ১৫০০ টাকা নিয়ে বাড়ি ছাড়ে ওই কিশোর। আপাতত সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই কিশোরের সন্ধান করছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।