নিজস্ব প্রতিনিধি: অধিকারী পরিবারের আমলে কাঁথি পুরসভায় একাধিক প্রকল্পের আর্থিক অনিয়মের তদন্তের নির্দেশ দিল নবান্ন। অতিরিক্ত জেলা শাসক শ্বেতা আগরওয়াল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) মানবকুমার সিংহলের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। সেই কমিটি যাবতীয় আর্থিক অনিয়মের দিকটা খতিয়ে দেখে তদন্ত করবে বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এছাড়াও পুরসভার নজরদারির জন্য অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার কাঁথি পুরসভায় একাধিক প্রকল্প সংক্রান্ত নথিপত্র যাচাই করতে শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জানা যায়, নবান্নের নির্দেশেই শুরু হয়েছে এই তদন্ত। কাঁথি পুরসভার দায়িত্বে সবসময় ছিল অধিকারী পরিবারের সদস্যরা। কখনও শিশির অধিকারী, কখনও শুভেন্দু আবার কখনও সৌমেন্দু। কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে অধিকারীরাই দীর্ঘদিন দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু কাঁথি পুরসভার বর্তমান প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যরা বারবার রাজ্য সরকারের কাছে অভিযোগ জানান অধিকারী জমানায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে কাঁথি পুরসভায়। যার তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গড়তে হবে। যাতে সাড়া দিয়ে নবান্নের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বর্তমান প্রশাসক মণ্ডলীর অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী থাকাকালীন কাঁথি পুরসভার পথবাতি বসানোর যে অর্থ তাঁর দফতর থেকে বরাদ্দ করেছিলেন, সেখানে অনিয়ম হয়েছে। সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একাধিক ওয়ার্ডে এই পথবাতি সংখ্যা নির্ধারণ ও চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া চলছে। ওই কাজে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল, তার থেকে কম সংখ্যক পথবাতি বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তাছাড়াও গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পে সৌন্দর্য না করে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। বুধবার কাঁথি পুরসভায় জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে, মহকুমা শাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানি, কাঁথি থানার আইসি -সহ বিভিন্ন আধিকারিক ও পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য উপস্থিতিতে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। তারপরেই পুরসভার কিছু নথি তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।