নিজস্ব প্রতিনিধি: শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা চাইলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দিল্লিতে দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশ অমান্য করে ভোট দিয়েছেন শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সেই সিদ্ধান্তের কথা সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ না মানায় শিশির ও দিব্যেন্দুর ইস্তফা চাইলেন সুদীপ।
শনিবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী দলের নির্দেশ অমান্য করে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে তাঁদের ইস্তফা দেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন এই তৃণমূল সাংসদ। উল্লেখ্য, অতীতে বউবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক থাকা অবস্থায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। দল ত্যাগ করায় সেই সময় নিজের বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছিলেন সুদীপ।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস দলের সমস্ত সাংসদকে ভোটদানে বিরত থাকার কথা জানানোর পাশাপাশি শুক্রবার কাঁথি ও তমলুকের সাংসদকেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল তৃণমূল। দুই সাংসদকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শনিবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন শুরু হলে দেখা যায় শিশির ও দিব্যেন্দু ভোট দিতে যান। আর যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। শনিবার শিশির ও দিব্যেন্দু উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী আদতে বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল এদিন বলেন, ‘শিশির ও দিব্যেন্দু বিজেপির বন্ধু।’ পাশাপাশি বিষয়টির ওপর দল নজর রাখছে বলেও জানান তিনি। এরপর এবার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও রাখঢাক না করে দুই সাংসদের ইস্তফা চাইলেন স্পষ্টভাবে।