নিজস্ব প্রতিনিধি,মালদা ও বহরমপুর: ফের ব্যাগ এবং জুতো খুলে মহানন্দা সেতুতে মরণঝাঁপ দিল এক যুবতি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে পুরাতন মালদা থানার মঙ্গলবাড়ী এলাকায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর ওই যুবতি প্রচন্ড বাঁচার চেষ্টা করে। কিন্তু পরবর্তীতে ভাসতে ভাসতে সাহাপুরের দিকে চলে যায় এবং ক্ষনিকের মধ্যে মহানন্দা নদীর(Mahananda River) জলে তলিয়ে যায়। যদিও স্থানীয় কিছু লোক বাঁচানোর চেষ্টা করলেও তলিয়ে যাওয়ায় চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থল রেখে যাওয়া ব্যাগ থেকে একটি আধার কার্ড উদ্ধার করে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই যুবতির নাম খাতিজা খাতুন। বাড়ি কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের দৌলতটোলা গ্রামে। আধার কার্ডের সেই সূত্র থেকে ওই যুবতীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এই মুহূর্তে মহানন্দা নদীতে স্থানীয় ডুবুরি দিয়ে শুরু হয়েছে খোঁজাখুঁজি। তবে যদিও ওই যুবতীর খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। এক প্রত্যক্ষদর্শী যুবক জানায় ,এই যুবতি এক ঘন্টা আগে সেতূর এই জায়গাতেই মুখে মাস্ক পড়ে মোবাইলে কথা বলতে দেখা যায়। তার পর কিছুক্ষণ পরেই ওই যুবতী নদীতে ঝাঁপ মারে। এদিকে পারিবারিক অশান্তির জেরে শিশু সন্তানকে গঙ্গায় ফেলে দিয়ে নিজেও গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা বাবার।
অপরদিকে ঘটনা ঘটে বহরমপুরের রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী সেতুতে(Tribedi Bridge)। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাজারপাড়ার বাসিন্দা রহমান শেখ নামে বছর ৪৮ এর ওই প্রৌঢ় তার ৭ বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে ফিরছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, প্রথমে পুত্র সন্তানকে গঙ্গায় ফেলে দেন তিনি। তারপর নিজেও ঝাঁপ দেন। কলেজ ঘাটে গিয়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে(Murshidabad Medical College Hospital) পাঠায়। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, বাবা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছেন। শিশুটিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পেড্রিয়াটিক বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান পুলিশের।