এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

১২৫ কেজির পুরপ্রধান ছেড়েছেন ‘পকোড়ি’ খাওয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে উন্নয়ন, দুর্নীতি এইসব নিয়েই আলোচনা হবে সেটাই কাম্য। কিন্তু তারপরেও আলোচনায় উঠে এসেছিল কিনা ভুঁড়ি। ভরা সভায় মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনার এত বড় ভুঁড়ি কেন?’ তাতে ভুঁড়িওয়ালা কিছুটা থতমত খেয়েও গিয়েছিলেন। তবে জবাব তো দিতে হবে তাই আধো হাসি হাসি মুখে বলেছিলেন, ‘আমার না সুগার আছে, না প্রেশার আছে। খালি এই ভুঁড়িটাই যা আছে।’ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীও ছাড়বেন না। তাই বলেছিলেন, ‘কিছু তো অবশ্যই আছে। নিশ্চয়ই লিভারটা বড়! কিছু না থাকলে এত বড় মধ্যপ্রদেশ হয় কী করে!’ কী মনে পড়ছে ঘটনার কথা? চলুন মনে করিয়ে দিচ্ছি। গত মে মাসে পুরুলিয়ায়(Purulia) প্রশাসনিক সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেখানেই এইসব কথোপকথন হয়েছিল যে ভুঁড়িওয়ালার সঙ্গে তিনি আর কেউ নন ঝালদা(Jhalda) পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার অগ্রওয়াল(Suresh Agarwal)। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে প্রতিদিন সকালে এখন আর তাঁর প্রিয় ‘পকোড়ি’(Pakora) খাওয়া হয় না। গদি ধরে রাখতে মানুষ কত কীই না করেন, সুরেশ তাঁর প্রিয় ‘পকোড়ি’ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন,

পুরুলিয়ার প্রশাসনিক সভায় সুরেশ নিজেই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তাঁর ওজন ১২৫কেজি। যা শুনে মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর হাসি চেপে রাখতে পারেননি। হেসেছিল সেদিন গোটা সভাই। সেদিনই সুরেশ জানিয়েছিলেন তিনি রোজ সকালে উঠে বাড়িতে ভাজা ‘পকোড়ি’ খান। তবে এখন সেই অভ্যাস ছেড়েছেন তিনি। নাহলে গদি যে তাঁকে ছেড়ে চলে যাবে! সেই সঙ্গে শরীরের মেদ ঝরাতে তিনি নাকি রোজ ব্যায়ামও করছেন। কিন্তু সেই ব্যায়ামে যে মেদ ঝরছে তা দেখে কেউই বলতে পারবেন না। তিনি কুমড়োপটাশ ছিলেন, এখনও তেমনটাই আছেন। খালি তাঁর দাবি, তিনি ‘পকোড়ি’ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। সুরেশ জানিয়েছেন, তিনি এখন রোজ ব্যায়াম করেন। রোজ পকোড়ি খাওয়াও ছেড়েছেন। তবে এটাও জানিয়েছেন, ‘আসলে সব জিনিস কি ছেড়ে দেওয়া সম্ভব? এটা আমাদের পরিবারের একটা অভ্যেস। রোজ সাকেল আমাদের বাড়িতে পকোড়ি ভাজা হয়। তবে শরীরের কথা চিন্তা করে এখন আর রোজ খাই না। কিন্তু, মাঝে মধ্যে খাওয়া হয়ে যায়।’

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পকোড়ি খাওয়া তো বন্ধ হয়েছে, ব্যায়ামও চলছে, কিন্তু ঝরছে কী আদৌ কিছু? নাকি এখনও সেই ১২৫ কেজি? সেই কথা শুনে সুরেশবাবু নিজেই জানালেন, ‘ওজন! আসলে মাপার সময় পাইনি। কাজের চাপে একটু বাইরে ছিলাম। সেই কারণে আর ওজন মাপা হয়নি। অতটা মাথাতেও ছিল না।’ নিন্দুকেরা অবশ্য বেশ জোর গলাতেই এখন বলছেন, ‘পকোড়ি ছাড়বেন উনি, হয়েছে তাহলে। ১২৫ মাস বাদেও এসে দেখবেন ১২৫ কেজি হয়ে আছে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পিংলার সভায় দেবের প্রশংসা থেকে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরলেন মমতা

সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে মাটির তলায় উদ্ধার বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র

আদালতের নির্দেশের পরেও ভোটকর্মী হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে চাকরিহারাদের

বাতিল বীরভূমে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন, হাইকোর্টের দ্বারস্থ গেরুয়া শিবির

প্রথম ২ ঘন্টায় বাংলায় ৩ কেন্দ্রে ভোট পড়ল ১৫.৬৮ শতাংশ

সকাল থেকেই বাংলার ৩ লোকসভা কেন্দ্রের বুথে বুথে লম্বা লাইন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর