নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে যাতে কেউ অভুক্ত অবস্থায় না থাকেন সেই লক্ষ্যেই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চালু করা হয় মা ক্যান্টিন(Maa Canteen)। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৫০টির ও বেশি শহরে প্রায় ৫০০’র বেশি আউটলেটের মাধ্যনে এই পরিষবা নিয়মিত চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই পরিষেবার মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এরই মাঝে বীরভূম(Birbhum) জেলার সিউড়ি(Suri) সদর হাসপাতালে খুলে গেল মা ক্যান্টিন। সুউড়ি পুরসভার উদ্যোগে এই ক্যান্টিন চাল্য করা হয়েছে। তবে ওই হাসপাতালে(Sadar Hospital) এই ক্যান্টিন চালানোর জন্য কোনও বিল্ডিং এখনও তৈরি না হওয়ায় আগে টোকেন বিলি করে অন্য জায়গা থেকে এনে খাবার বিলি করা হবে বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। এখন প্রতিদিন ১০০-১৫০ জনকে খাবার দেওয়া হবে, পরে ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে পরিষেবা। তবে সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সুলভে খাবার মেলায় খুশি রোগীর পরিজনরা। কেননা মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে সেখানে মিলছে পেট ভরানো ডিম-ভাত থালি।
আরও পড়ুন হাওড়া শহরে জলসঙ্কট মেটাতে ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্প
সিউড়ি সদর হাসপাতালে শুধু যে বীরভূম জেলার লোকেরা চিকিৎসা করাতে আসেন তাই নয়, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে এবং ঝাড়খণ্ড থেকেও মানুষজন আসেন। নিত্যদিন এই হাসপাতলে প্রায় হাজারের কাছাকাছি রোগী ভর্তি হন বা চ্ছাড়া পান। সেই সূত্রে হাসপাতালে নিত্যদিন কয়েক হাজার মানুষের আনাগোনা হয়। কিন্তু এই হাসপাতালে না আছে ক্যান্টিন না আছে হাসপাতালের বাইরে সুলভে ভালো খাবার কোনও জায়গা। সেই সূত্রেই সিউড়ি পুরসভার উদ্যোগে এই মা ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে বলে জানানো গিয়েছে। রোগীকে হাস্পাতালে ছেড়ে রেখে কেউই বেশি দূরে যেতে পারেন না। তাই হাসপাতালে আসা রোগী ও পরিজনদেরও এতদিন খাওয়াদাওয়া করা নিয়ে সমস্যা হত। এবার এই সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে। এই ক্যান্টিন চালুর প্রসঙ্গে সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব কর জানিয়েছেন, এখনও হাসপাতালে রান্নার কোনও পরিকাঠামো নেই। স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তা মঞ্জুর হয়ে গেলে হাসপাতালেই রান্না করে খাবার দেওয়া হবে।