এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বংশপরম্পরায় থাকা বাড়িতে চা-শ্রমিকদের পরিবারকে পাট্টা দিতে সমীক্ষা

Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার উত্তরবঙ্গের(North Bengal) ৬টি জেলার চা-বাগানের শ্রমিকদের(Tea Garden Workers) বসত বাড়ির জমির পাট্টা(House Land Patta) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে। এতদিন চা বাগানের উদ্বৃত্ত জমিতে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। এবার চা শ্রমিকেরা বংশপরম্পরায় শ্রমিক লাইনের যে বাড়িতে বসবাস করছেন, সেখানকার জমিরই পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় শুরু হয়েছে সেই সংক্রান্ত সমীক্ষা। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে একপ্রস্ত এই নিয়ে আলোচনা করেছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে শ্রমিক সংগঠনগুলি কোনও আপত্তি তো করেইনি, উল্টে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানিয়েছে। তবে চা বাগানের পরিচালকদের একাধিক সংগঠন এ নিয়ে আপত্তি এবং প্রশ্ন তুলেছে। যদিও সেই আপত্তি এবং প্রশ্ন সবটাই আলোচনার স্তরে রয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।  

চা বাগানে পাট্টা দেওয়া হবে বলে বেশ কয়েক বছর ধরেই জানিয়ে আসছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজে  একাধিকবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসে পাট্টা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি মতন গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই প্রতীকী পাট্টা বিলি শুরু হয়েছে। সে পাট্টা দেওয়া হয়েছে চা বাগান লাগোয়া অথবা চা বাগানের উদ্বৃত্ত জমিতে। এ বার সরাসরি শ্রমিকেরা যে জমিতে এত দিন ধরে বাস করছেন, সেই জমিরই পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। গত সপ্তাহের শেষে রাজ্য এ নিয়ে নির্দেশিকাও জারি করেছে। তবে এক্ষেত্রে চা বাগানের মালিক পক্ষের(Tea Garden Owners) প্রশ্ন, চা বাগিচা আইনে শ্রমিকদের আবাসন দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। সে আবাসন চা বাগানের জমিতেই দিতে হয়। চা বাগানের জমি পাট্টা হিসেবে দেওয়া হলে, সেই জমি শ্রমিকের নামে হয়ে যাবে। অর্থাৎ, সেই জমি আর চা বাগানের মালিকের থাকবে না। তখন চা বাগিচা আইন মেনে সেই জমিতে কী করে বাগান কর্তৃপক্ষ আবাসন তৈরি করবে, এখন এই প্রশ্ন তুলছেন চা বাগানের মালিকেরা।

চা বাগানের মালিকদের দাবি, রাজ্য সরকার যা করছে তাতে করে কেন্দ্রীয় আইন সংশোধন করতে হবে। কারণ, চা বাগানের শ্রমিকদের আবাসন না দিলে কেন্দ্রীয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠতে পারে চা বাগানের মালিকদের বিরুদ্ধে। শ্রমিকেরা যেখানে বসবাস করেন, সে জমির পাট্টা দিতে গেলে একাধিক আইনের সমন্বয় করতে হবে। যদিও রাজ্য প্রশাসনের দাবি, আপাতত সমীক্ষার কাজই শুরু হয়েছে। পাহাড়েও চা বাগানের জমিতে পাট্টা দেওয়া নিয়ে মালিকপক্ষের তরফে আপত্তি তোলা হয়েছিল। আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান হয়েছে। পাহাড়ের চা বাগানের জমিরও সমীক্ষা হয়েছে। তবে ডুয়ার্সে, অর্থাৎ জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার মিলিয়ে অন্তত সাড়ে ৫ লক্ষ চা শ্রমিক রয়েছেন। চা শ্রমিকেরা যেখানে বসবাস করেন সেই জমিতে পাট্টা দেওয়ার বিষয়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান করা হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে রাজ্যজুড়ে সাতজনের প্রাণহানি

সোমবার সন্ধ্যায় ঝমঝমিয়ে প্রথম কাল বৈশাখীর বৃষ্টি কলকাতা শহরে

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, সন্দেশখালিতে মিছিল তৃণমূলের

তীব্র দাবদহে নদীয়ার এঁচোড় দেদার রপ্তানি হচ্ছে ভিন রাজ্যে

মালদা ও মুর্শিদাবাদের নির্বাচনে বুথগুলিকে ঘিরে কড়া নজরদারি কমিশনের

সেলিম কাঁটা উপড়ে ফেলে মুর্শিদাবাদ ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর