নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বছর ঘুরতেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পাখির চোখ। তাই লোকসভার আগেই তৃণমূল স্তরে কর্মীদের উজ্জীবিত করতে ঢালাও কর্মসূচি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। সামনেই দুর্গাপুজো। আর পুজো মিটলেই মাঠে নেমে পড়বে তৃণমূল। নভেম্বর মাসে দলীয় কর্মসূচি শুরুর নির্দেশ পৌঁছবে সমস্ত ব্লকে। রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরতে ও বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রচারে গাইডলাইন ঠিক করা হবে। লোকসভা ভিত্তিক প্রচারের গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়া হবে। তাই উৎসবের মরশুম শেষ হতেই ঝাঁপিয়ে পড়বে তৃণমূল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচি প্রভাব ফেলেছিল দলীয় কর্মী সহ জনমানসে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মত লোকসভা ভোটেও রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার ইস্যুও তুলে ধরা হবে।
রাজ্যের উন্নয়নে ক্রমাগত প্রাণপাত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গ্রামবাংলা থেকে শুরু করে খোদ শহর কলকাতাতেও শাসকদলের উন্নয়ন কর্মসূচীর প্রশংসা বিস্তর। তবে বহুবারই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লাগাতার বঞ্চনার অভিযোগ রয়েছে। এই ইস্যুকে সামনে রেখে ১০০ দিনের বকেয়া পাওনার দাবিতে আগামী ২ অক্টোবর দিল্লিতে রাজঘাটে ধরনায় থাকছেন মমতা-অভিষেক। ওই কর্মসূচিতে অংশ নিতে দলের বিধায়ক ও জেলা পরিষদ সভাধিপতিদের ১ অক্টোবরের মধ্যে পৌঁছতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংসদের অধিবেশন চলার কারণে সাংসদরাও আগে থেকেই দিল্লিতে থাকবেন।স্পষ্টত, লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মতো সিরিয়াস ইস্যুকে সামনে রেখেই মাঠে নামতে চাইছে তৃণমূল। তাই বুথস্তর থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত কর্মীদের চাঙ্গা করতে পুজোর পর কর্মসূচি শুরু করছে তৃণমূল।