এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কিষাণ আতঙ্ক অতীত, মমতার হাত ধরে হাসছে জঙ্গলমহল

Courtesy - Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেখতে দেখতে পূর্ণ হয়ে গেল ১২ বছর। ২৪ নভেম্বর, ২০১১’র এই দিনেই জঙ্গলমহলের(Junglemahal) বুকে বুড়িশোলের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল মাওবাদী শীর্ষনেতা কিষেণজীর। তাঁর অবর্তমানে অতীত হয়ে গিয়েছে ধারাবাহিক সন্ত্রাসের দুঃস্বপ্ন। কেটে গিয়েছে যাবতীয় আতঙ্ক। জঙ্গলমহল আজ হাসছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) হাত ধরে হাসছে। তাঁর দেখানো পথে হেঁটে আজ ভাল আছেন জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা। শান্তিতে আছেন, সুখে আছেন। ধারাবাহিক উন্নয়নের মুখ দেখছেন তাঁরা। ছবি বদলের এই কৃতিত্ব তাই জঙ্গলমহলবাসী দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারকে। রাজ্যের নানা উন্নয়নমূলক আর্থসামাজিক প্রকল্পের(Socio Economic Projects) মুখ দেখে জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা আর পুরাতন দিনে ফিরতে চান না। তাই বার বার নানা শিবির থেকেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জঙ্গলমহলকে উত্তপ্ত করে তোলার চেষ্টা করা হলেও তা বিফল হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল তার প্রমাণ। মমতার পাশেই দৃঢ় ভাবে দাঁড়িয়েছে জঙ্গলমহল।

এই ১২ বছরে জঙ্গলমহলের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী। পৌঁছে গিয়েছে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মেধাশ্রী। এসেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, জয় জোহর, জয় বাংলা। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, কুটির শিল্প থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। কার্যত এই সব আর্থসামাজিক প্রকল্পের হাত ধরেই জঙ্গলমহলের অর্থনীতির চাকা ঘুরেছে, এলাকার অনুন্নয়নের ছবি বদলে গিয়ে উন্ন্যনের ফলক বসেছে। পথশ্রী-রাস্তাশ্রীর হাত ধরে বিচ্ছিন্ন গ্রামেও এখন সুগম হয়ে গিয়েছে। শান্তি ফিরতে জঙ্গলমহলে বাড়ছে পর্যটকদেরও আনাগোনা। আসছে শিল্পের বিনিয়োগও। যদিও এই সবেরই মাঝে বার বার চেষ্টা করা হয়েছে, জঙ্গলমহলের বুকে মাও আতঙ্ককে ফিরিয়ে আনার। বিভিন্ন সময়ে মাওবাদীদের নামাঙ্কিত পোস্টার মিলেছে। পুলিশের তদন্তে পরে দেখা যায় ব্যক্তিগত শত্রুতা অথবা কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে মাঝে মধ্যে ভুয়ো পোস্টার দেওয়া হয়েছে। যদিও শাসক শিবিরের ধারনা, নির্দিষ্ট দুটি শিবির থেকে এই সব ঘটনা ঘটানো হচ্ছিল রাজ্যের ও জঙ্গলমহলের সম্পর্কে ভুল ছবি তুলে ধরতে। কিন্তু বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি কেউই।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কী জঙ্গলমহলের অন্দরে কোনও ক্ষোভই নেই! অবশ্যই আছে। সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে এবং বেশিরভাগতা ভুল বুঝিয়েই উনিশের ভোটে জঙ্গলমহলের ৫টি লোকসভা আসনেই বাজিমাত করেছিল পদ্মশিবির(BJP)। কিন্তু সেই ভুল ভাঙতে বেশি দেরী হয়নি। একুশের বিধানসভা ভোটেই জঙ্গলমহলে আবারও পায়ের তলায় মাটি পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল(TMC)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বেশ সুপরিকল্পিত ভাবে কূর্মীদের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয় অবরোধ বিক্ষোভের পথে। এমনকি পঞ্চায়েত নির্বাচনে কূর্মীদের আলাদা ভাবে লড়াই করতেও ঠেলে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে সায় দেননি খোদ কূর্মীরাই। পঞ্চায়েত ভোটের ফল বলছে, জঙ্গলমহলে নিরঙ্কুশ আধিপত্য কায়েক হয়েছে তৃণমূলের। ওয়াকিবহালদের অভিমত, মমতার শান্তির বার্তা আর উন্নয়নই আজ জঙ্গলমহলের ছবি বদলে দিয়েছে। জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা আজ আর তাই হাতে বন্দুক, কুড়ল তুলতে চাইছেন না। তাঁদের এখন পছন্দ শান্তি আর উন্নয়ন, যা মমতার সরকার তার বাড়ির দোরগড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মহানন্দা নদীর রেল লাইন সেতুর নিচ থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত হাই মাদ্রাসা-আলিম-ফাজিল পরীক্ষার ফল, ছেলেদের টেক্কা দিল মেয়েরা

‘বেশ  করেছে দাঁড়িয়েছে’, রাহুলের পাশে দাঁড়ালেন মমতা

প্রচণ্ড গরমে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারির পশুপাখিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

যমজ ভাইয়ের ‘ডবল সাফল্য’! মাধ্যমিকে একই নম্বর পেয়ে তাক লাগাল দুই ছাত্র

চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে মোদিকে পাল্টা বিঁধলেন মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর