নিজস্ব প্রতিনিধি: পুকুর থেকে উদ্ধার হল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কুলতলি এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ছাত্রের ফেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলি এলাকার জালাবেরিয়া গ্রামের চাঁদপুরের বাসিন্দা হাসান গাজি। সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। দীর্ঘক্ষণ তার খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবারের লোকজন। চিন্তিত হয়ে খোঁজাখুঁজিও শুরু করেন। অবশেষে নিখোঁজ থাকার পর বুধবার এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত ওই ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিল হাসান। এরপর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে এলাকায় খোঁজ নেন তাঁরা। হাসানের বন্ধুবান্ধবের থেকেও খোঁজ নেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু তাদের থেকেও কোনও খবর মেলেনি। এর পর দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে। সারারাত দুশ্চিন্তার মাঝে কেটে যায় রাত।
বুধবার সকালে এলাকার একটি পুকুরে ওই ছাত্রের দেহ দেখতে পান কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। চাঁদপুজ গাজিপাড়ায় পুকুরে ওই দেহ ভেসে ওঠার খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে ভিড় করেন এলাকার মানুষজন। এর পর খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতেই দেখা যায়, দেহটি নিখোঁজ ছাত্র হাসানের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়ার দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছে। খুন করে দেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে তদন্তকারীরা। কী ভাবে এবং কেন ওই ছাত্রের মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। নিহত পড়ুয়ার বাবা মায়ের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।