নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়লা পাচার কাণ্ডে(Coal Smuggling Case) বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বেশ সক্রিয় হয়ে উঠল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। এদিন সকাল থেকে রাজ্যের ১৩টি জায়গায় হানা(Raid) দিয়ে তল্লাশি চালানো(Search Operation) শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর তদন্তকারীরা। বেলা গড়ানোর পরেও প্রায় সব জায়গাতেই চলছে তল্লাশি। সিবিআই সূত্রে খবর, যাদের বাড়ি বা দফতরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, তাঁদের প্রত্যেকেই কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি(Anup Maji) ওরফে লালার ঘনিষ্ঠ। একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে CBI আধিকারিকেরা কলকাতার ভবানীপুর, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, মালদার রতুয়া এবং পুরুলিয়ায় হানা দিয়েছেন।
আসানসোলে স্নেহাশিস তালুকদার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রতুয়ায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে শ্যামল সিংহ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে। এরা দু’জনেই লালা-ঘনিষ্ঠ বলে ওই সূত্রের খবর। তার মধ্যে স্নেহাশিস, লালার টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করতেন বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। দুর্গাপুরের বাসিন্দা সৌরভ কুমারের বাড়িতে ও কলকাতার ভবানীপুরেও একতি বহুতল আবাসনে কয়লা পাচার মামলার তদন্তে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এ ছাড়াও একাধিক অবসরপ্রাপ্ত এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে বলে CBI সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরাও।
২০২০ সালে কয়লা পাচার মামলার তদন্ত শুরু করে CBI। লালা এই মামলায় মূল অভিযুক্ত। তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। লালার সঙ্গী বলে পরিচিত গুরুপদ মাজি-সহ ৪ জন গ্রেফতার হন। ৩ জন জামিন পেলেও, গুরুপদ এখন তিহাড় জেলে বন্দি। সাম্প্রতিক কালে গরু এবং কয়লা পাচার মামলা বার বার শিরোনামে এসেছে। এর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে রাজনীতিকদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করছে, লালাকে মদত জোগাতেন ECL’র আধিকারিকরা। তাঁরাই বিপুল টাকার বিনিময়ে অবৈধ খনি থেকে কয়লা তুলে বাইরে পাচারের কাজে সাহায্য করতেন। সেই কয়লা ভরতি মালবাহী গাড়ি অতি সহজেই চলে যেত রাজ্যের বাইরে। আর এই গোটা প্রক্রিয়ায় যোগসাজশ ছিল CISF কর্তাদেরও।