নিজস্ব প্রতিনিধি: যুগলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এলাকায়। বাড়ি থেকে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ওই যুগল আত্মঘাতী হয়েছেন বলে স্থানীয়দের দাবি। চোপড়ায় এক চা বাগানের ভেতরে গাছ থেকে দুজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নাবালিকা প্রেমিকার নাম সনিতা হাঁসদা। ১৬ বছর বয়স তার। প্রেমিকের নাম সারজেন মুর্মু। ১৭ বছর বয়স তার। চোপড়ার হফতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ওই যুগল। চোপড়ার হফতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের জিরো পানি গ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বৃহস্পতিবার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জিরো পানি গ্রামের বাসিন্দা সনিতা হাঁসদার সঙ্গে এবং সারজেন মুর্মূর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা বিয়ে করে একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, তাদের বিয়েতে মেয়ের পরিবারের তরফে রাজি থাকলেও ছেলের পরিবারের সদস্যরা বেঁকে বসে। এর পর একসঙ্গে থাকতে না পারার কারণে দুই জন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় বলে স্থানীয়দের দাবি। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রাম থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরের এক চা বাগানের একটি গাছে দুজনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এর পর খবর দেওয়া হয় চোপড়া থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ যুগলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একসঙ্গে থাকতে পরিবারের বারণ থাকায় তারা আত্মঘাতী হয়েছে নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। চোপড়া থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।