নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরণতি দিতে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন যুগল। তারপর উদ্ধার হল তাদের ঝুলন্ত দেহ। এমন ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়া জেলার(Purulia) মফস্বল থানার রানিবাঁধ এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুগলের মধ্যে প্রেমিকের নাম বিধান মাহাত। পুরুলিয়ার জয়পুর থানার উপরকাহানের বাসিন্দা তিনি। নাবালিকা প্রেমিকের বাড়িও ওই এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। মৃত নাবালিকার পরিবারের দাবি, সোমবার থেকে খোঁজ মিলছিল তাদের মেয়ের। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেলেনি হদিশ। এরপর মঙ্গলবার তাদের দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় সুত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে পুরুলিয়ার রানিবাঁধ গ্রামের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুগলের দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যে নাবালিকা মেয়েটি নিখোঁজ ছিল ওই যুগলের মৃতদেহের মধ্যে তার দেহ পাওয়া যায়। মৃত প্রেমিকও নাবালক বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত নাবালিকার সিঁথিতে সিঁদুর ছিল। অর্থাৎ ওই যুগল বিয়ে করে তারপর আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। একই ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাদের দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার ওই যুগল চিরকা শিব মন্দিরে গিয়েছিল। বাড়ি থেকে পালিয়ে সেখানে পুজো দেয় তারা। মন্দিরে পুজো দিলেও সেখানে বিয়ে করেনি বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। ফলে অনুমান করা হচ্ছে ওই যুগল অন্য কোথাও বিয়ে করেছে। তাদের সম্পর্ক পরিবার মেনে নেবে না এই ভাবনা থেকে যুগল আত্মঘাতী হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।